প্রকাশ: রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৯:৪৪ পিএম (ভিজিট : ৫২২)
সৈয়দপুরে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রকাশ্যে তিস্তা সেচ প্রকল্পের টারসিয়ারি ক্যানেলের গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে অবাধে গাছ নিধন করা হলেও দেখার কেউ নেই।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে শহরের পৌর এলাকার ডাঙ্গাপাড়া দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা সেচ প্রকল্পের একটি টারসিয়ারি ক্যানেলে। ওই এলাকার প্রভাবশালী এক কাঠ ব্যবসায়ী ক্যানেলের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ৫টি বিশাল ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছেন। যা ১২০ ফুট উঁচু ও ১০ ফুট গোলাকার। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, ক্যানেলের ধারের গাছগুলো ১৯৯৫ সালে লাগানো হয়েছে। দিনে দিনে ওই গাছগুলো বিশাল আকার ধারণ করেছে। প্রখর তাপদাহে গাছগুলোর সুশীতল ছায়ায় ক্লান্ত পথিক থেকে কৃষক-কৃষাণী ও শিশুরা বিশ্রাম নিয়ে প্রাণ জুড়ায়। ঝড় বাদলের প্রভাব থেকে রক্ষা করে এলাকাবাসীকে।
ওই এলাকার আবুল হোসেন জানান, গাছগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তবে যারা গাছ কাটছে তারা বলেন, ক্যানেলের পাশে গাছগুলো আমাদের। ক্যানেল সংস্কার হবে। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। তবে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এ এস এম আমিনুর রহমান বলেন, গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পদ।
সৈয়দপুর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. শাহিকুল ইসলাম মুশকুরি বলেন, সরকারি বিধি মতে কেউ ব্যক্তিগত গাছ কাটলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। আর সরকারি ক্যানেলের ধারের গাছগুলো অবাধে নিধন অবশ্যই দণ্ডনীয় অপরাধ।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান বলেন, দেশে প্রখর তাপদাহ চলছে। এমন মুহূর্তে গাছ কাটা মানে পরিবেশ ও প্রাণীকুলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। তাই কোন ভাবেই প্রকৃতি ধ্বংসকারীদের ছাড় দেওয়া উচিৎ নয়।
সময়ের আলো/আরআই