জ্যেষ্ঠের শুরু হওয়া তাপদাহের অস্থিরতা কেটেছে স্বস্তির বৃষ্টিতে। বৃষ্টি হওয়ায় জনজীবন ও প্রকৃতিতে ফিরেছে প্রাণ। কমেছে উত্তপ্ত ও ভ্যাপসা গরমের মাত্রা। আবহাওয়া শীতল হয়ে উঠায় স্বস্তিতে উত্তরের জনজীবন।
রোববার (১৯ মে) সকালে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানান।
জেলার তেঁতুলিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিনদিন ধরেই সন্ধ্যার পর থেকেই পঞ্চগড়ে বৃষ্টি হতে দেখা যায়। শনিবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে রোববার ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতে বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় ছিল না বিদ্যুত। তবে বজ্রপাতের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, টানা তাপদাহে পঞ্চগড়ে তাপপ্রবাহ রেকর্ড হচ্ছে ৩২-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহের গত তিনদিনে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপপ্রবাহ রেকর্ড হয়েছে। অনাবৃষ্টি আর তীব্র খরতাপে লাল হয়ে গিয়েছিল আবাদি জমি। কৃষিতে দেখা দেয় মারাত্মক বিপর্যয়। তাপদাহে মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় মরে যেতে থাকে সমতলের চা বাগান, বাদাম, টমেটো, মরিচ ক্ষেত। বৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পাওয়ায় কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। স্বস্তি ফিরেছে জনজীবন ও প্রাণীকুলেও।
রোববার সকালে চা চাষি আব্দুল করিম, কালাম ও নজরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিটা খুব দরকার ছিল। খুব বিপাকে পড়েছিলাম। বিশেষ করে চা বাগানে ঘন ঘন সেচ দিয়েও নতুন পাতা গজাচ্ছিল না। এ বৃষ্টিতে অনেক উপকার হলো।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল। তাছাড়া এ এলাকায় টানা তাপদাহ গেলেও গত দুইদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/