প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৫:৪৬ পিএম (ভিজিট : ৬৪০)
ঢাকায় শুরু হওয়া ছাদবাগান বিলাসিতার দেওয়াল টপকে ছাদবাগান এখন চলে এসেছে জেলা—উপজেলায়। সেখানে চাষ করছে মানুষ তার মনের মতো ফল ও টাটকা সবজি। এতে পরিবার যেমন পাচ্ছে রাসায়নিক মুক্ত খাঁটি ফল ও সবজি; তেমনি বাজারের উপর কিছুটা হলেও কমছে চাপ। অর্থনৈতিক সাশ্রয় তো রয়েছেই। এমন একটি ছাদবাগান করে সফল হয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা পৌরশহরের বামনপাড়া তাল তলা এলাকার বাসিন্দা আসমান আলী। একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আসমান আলী কুষ্টিয়া সাহিত্য পরিষদ কে এস পির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। লেখেন কবিতা ও ছোট গল্প। তার ছাদবাগানে তিনি লাগিয়েছেন বারি ফোর, আম্রপালি, কার্টিমন, ক্ষীরশাপাতসহ বিভিন্ন জাতের আম। আম ঝুলছে প্রায় সব ডালেই। একটি গাছেই ধরেছে বিভিন্ন প্রজাতির আম।
এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অতি জনপ্রিয় চুঁই ঝাল, কদবেল, দেশীয় সবেদা, বারোমাসি আমড়া, সিড লেস লেবু, তেজপাত গাছ, এলাচ মসলার গাছ এছাড়াও আছে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির চেয়ে তিনশত গুণ মিষ্টি স্টেভিয়া। আছে কোরিয়ান রেড জিনসেং গাছ। সাদা নাগ চাপা ফুল গাছ যেমন আছে তেমনি আছে ঔষধি গাছ আছে দেশীয় পুদিনা পাতা এবং হাইব্রিড পুদিনা ও গন্ধভাদাল গাছ। আসমান আলীর বাগানে সৌদি খেজুর গাছ যেমন দেখা যায়, তেমনি দেখা যায় বিদেশি ফল ড্রাগন, নাসপাতি, ভারতের অগ্নীশ্বর কলা এবং আঙুরসহ গাছ। শীতকালীন ফল স্ট্রবেরি, মালবেরি, মেওয়া, এডেনিয়াম, বিরল প্রজাতির কয়েকটি ক্যাকটাস ও অর্কিড শতাধিক প্রজাতির গাছ।
আসমান আলীর ছাদ বাগান দেখতে নিয়মিত আসেন দর্শনার্থীরা। আসমান আলী বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমি বেশ কিছু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে নতুন ছাদবাগান করিয়েছি। এছাড়া বিগত সময়ে আমি বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজারেরও বেশি চারা মানুষের মধ্যে ফ্রি বিতরণ করেছি।
ছাদবাগানের দর্শনার্থী পদ্মা পাড়ের কবি খ্যাত মুনির উদ্দীন বলেন, আসমান ভাইয়ের ছাদবাগানের কথা শুনে এর আগেও আমি এখানে এসেছিলাম। আসমান ভাই থেকে একটি ভারতীয় অগ্নীশ্বর জাতের কলার চারা নিয়ে লাগিয়েছি। তার থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার একটি বাগান করার শখ আছে।
আসমান আলী একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এতো ব্যস্ততার মাঝেও এসব কাজ করে অনেক তৃপ্তি পান বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বাঁচার জন্য যে অক্সিজেন টুকু দরকার, তা আমার নিজেরই তৈরি করা উচিত।