ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হোসেনপুরে অপরিপক্ক আম-লিচুতে সয়লাব ফলের বাজার, দামও চড়া
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ১২:২০ পিএম  (ভিজিট : ৭৯৮)
মৌসুমের শুরুতেই বাজার দখল করেছে আম ও লিচু। বাজারে ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, অরুনা, আম্রপালিসহ পরিচিত নানা প্রজাতির আম না থাকলেও মৌসুমের শুরুতেই মিলছে হিমসাগর, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বারিফল এবং কাঠিমনসহ কয়েক প্রজাতির আম। পাশাপাশি উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে থাইল্যান্ডের জাম্বু আম ও কয়েক প্রজাতির লিচুও।

তবে দেশীয় আমের দামও আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি দেশীয় প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে প্রতি একশ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০থেকে ৩০০ টাকায়। তবে বাজারে এমন চড়া দামে ফল কিনতে একদিকে যেমন ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব ফল বাজারে আসায় স্বাদ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

শনিবার (১৮ মে) বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায় হোসেনপুর, গোবিন্দপুর, জগদল, পুমদী, রামপুর, সূরাটি, হাজিপুর  এবং এর আশেপাশের ফলের বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে ফল কিনতে পারবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলন কমেছে, রসালো ফল আম ও লিচুর। ফলে সঙ্গত কারণে একদিকে যেমন বাজারে আম এবং লিচুর সংকট তৈরি হবে তেমনি বিক্রিও হবে চড়া দামে।

তবে মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার পর দাম অপেক্ষাকৃত কমবে বলেও দাবি বিক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমের শুরুতেই ৬ থেকে ৭ প্রজাতির আম পাওয়া যাচ্ছে। এসব আমের মধ্যে হিমসাগর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, গোপালভোগ প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, গোবিন্দভোগ প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, বারিফল প্রতি কেজি ২৫০টাকা, কাঠিমন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, সাতক্ষীরার গোপালভোগ প্রতি কেজি ২৭০টাকা, বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি একশ পিস বোম্বাই লিচু ৩৫০ টাকা, প্রতি একশ পিস কদমি লিচু ৩০০থেকে ৪০০টাকা, চায়না লিচু প্রতি একশ পিস ৫০০টাকা, বেলোয়ারি লিচু প্রতি একশ পিস ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

২০ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করছেন আমিনুল ইসলাম জানান, এবছর ফলের দাম ভীষণ চড়া। যেসব ফল ১০০ টাকা কেজিতে গতবছর বিক্রি হয়েছে, সে ফল পেতেই এ বছর গুনতে হবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর ফলের ফলন কম বলেও দাবি করেন এ ব্যবসায়ী। তবে ভরপুর মৌসুমে ফলের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালেই থাকবেই বলে মনে করেন, এ ফল ব্যবসায়ী।

নাজমুল নামের লিচু ব্যবসায়ী বলেন, এবছর লিচুর দাম বেশি। পাইকারি বাজারে অতিরিক্ত দামে লিচু কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করা লাগছে। সাধারণ ২৮০ টাকায় একশ পিস লিচু বিক্রি যৌক্তিক থাকলেও তা দাম বেড়ে ৪০০ টাকা বিক্রি করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ফল কিনতে আল-আমিন ভূঁইয়া বলেন, বাজারে ফলের দাম প্রচুর।

বিদেশি ফলের চেয়ে দেশি ফলের দাম আরও বেশি। আঙুর বা আপেল ৩শ টাকায় পাওয়া গেলেও লিচু বা আম এ দামে মিলছে না। ১০০ পিস লিচু কিনতে গেলে পকেটের ৫০০‌টাকা নেই। এভাবে তো আর খেয়ে পারা যায় না। দেশের অবস্থা এমন যে আমরা দেশীয় ফলও কিনে খাবার সামর্থ্য হারাচ্ছি। গোলাম রাব্বী নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুতেই দাম বেশি।

তবে ফলের বাজারে দামের আগুন আরেকটু বেশি। এক কেজি আম যদি ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাহলে যার দৈনিক আয় ৪০০ টাকা সে কি করবে? কীভাবে খাবে? দেশীয় ফলের দাম এত বেশি হওয়া একদম উচিত নয়।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close