প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৮:৪০ এএম আপডেট: ১৭.০৫.২০২৪ ৮:৪৭ এএম (ভিজিট : ৯৩৯)
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের শরীফার গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। কয়েক দিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভুল উল্লেখ করে কমিটির পক্ষ থেকে এই গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।
আলোচিত শরীফার গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রশীদ।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ শরীফার গল্প। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক এক অনুষ্ঠানে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শরীফ-শরীফা গল্পে ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তির কথা বলেছেন। এসব শব্দগুলো বাদ দিলে ওই গল্পটি আর পরিপূর্ণ থাকছে না। সেজন্য পুরো গল্পটিই বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে সচেতনতামূলক কোনো গল্প নতুন করে লিখে সেটা বইয়ে যুক্ত করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মত দিয়েছেন তারা।
এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান রাতে বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি এ সংক্রান্ত একটি বিস্তর প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামে অধ্যায় রয়েছে। এ অধ্যায়ে বইয়ের ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় শরীফার গল্প শুরু হয়েছে। গল্পটি মোট ৩৭৪ শব্দের। গল্পে বর্ণনায় একপর্যায়ে শরীফ থেকে শরীফা হওয়া ব্যক্তির কাল্পনিক বিবরণ উঠে আসে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ নিয়ে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, এ সংক্রান্ত একটা প্রতিবেদন আমরা জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।
সময়ের আলো/আরআই