প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৮:১৯ পিএম (ভিজিট : ৭৫২)
রাজশাহী গোদাগাড়ীতে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ। বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী পৌর সদরের গোদাগাড়ী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী তরিকুল ইসলামের মেয়ে সুরভী খাতুনের (২৮) মেডিকেল মোড়ের শামসুদ্দীন ইসলাম ধলু মাস্টারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান এক রকম বেকার অবস্থায় জীবন-যাপন করতেন। এই নিয়ে পারিবারিক কলহ বিরাজ করতো।
বুধবার (১৫ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নিয়োগের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এদিন স্ত্রী সুরভী খাতুন মায়ের বাড়িতে থাকায় রাতে সেখানে যান মোস্তাফিজুর রহমান। এনটিআরসিএর ফলাফলে সুরভী খাতুন উত্তীর্ণ হন। অপরদিকে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান একই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। দীর্ঘদিন থেকে কর্মহীন থাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের শাশুড়িও তাকে বকাঝকা করেন। এভাবেই রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সুরভির মা তাদের ডাকতে গেলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন মেয়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। জামাই মোস্তাফিজুর রহমান ঘরে নেই। তড়িঘড়ি করে সুরভীর মরদেহ গোদাগাড়ী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান ভিকটিমের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা ওসি আব্দুল মতিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত সুরভীর গলায় হালকা দাগ আছে। মনে করা হচ্ছে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরে ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সময়ের আলো/আরআই