প্রকাশ: রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ৬:১৯ পিএম আপডেট: ১২.০৫.২০২৪ ৬:৪৯ পিএম (ভিজিট : ৪৪৯)
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন হাজী শরীয়ত উল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের (ইআইআইএন-১০৭৮৯১) প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহানের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ, নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটি।
রোববার (১২ মে) ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকে নামে-বেনামে নগদ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট হতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম গং এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর মাসিক বেতনের পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলণ করা হয়, যা ম্যানেজিং কমিটির সভায় কখনো উত্থাপন করা হয়নি। ব্যক্তিগত স্বার্থে এবং তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের একাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের বাবা বিদালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ায় নিজের মনোনীত ব্যক্তিকে কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতেন সেই ধারাবাহিকতায় তার মেয়েও সরকারি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ২০০৪ সালে সহকারি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং সহকারি শিক্ষক থেকে ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়ালখুশি মত বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় ও অন্যান্য সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি নীতিমালা না মেনে কোচিং বাণিজ্য করার বিষয়টি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগের বিষয়টি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্থাপনের জন্য পাঠানো হবে।
এবিষয়ে হাজী শরীয়ত উল্লাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসরাত জাহান সময়ের আলোকে বলেন, অভিযোগগুলো জেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত করছে। কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ে তদন্তে এসেছিল। তারা যে সব বিষয় জানতে চেয়েছিল শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তা লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলো যে ভিত্তিহীন তা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সময়ের আলো/এম