প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ৪:৩৩ পিএম আপডেট: ০৬.০৫.২০২৪ ৪:৩৭ পিএম (ভিজিট : ৪১৭)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিজ খান।
নিজ বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী। এর আগে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে বিভাগের মাস্টার্সে ফলাফল ধসের অভিযোগ তুলে ৭ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী।
এদিকে সোমবার লিখিত বক্তব্যে রাফিজ খান বলেন, দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হলেও আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনায় অগ্রগতি আমাদেরকে জানাতে হবে। দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
এছাড়া নিপীড়নের সত্যতা পাওয়া গেলে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ফৌজদারী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সময়ের আলো/জিকে