প্রকাশ: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ১:১৭ এএম (ভিজিট : ৭৮৪)
গরম পড়লে কিছু খাবার ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়। কয়েকটি ফল এবং সবজি ফ্রিজে রাখলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ সময়ে কিছু খাবার ভুল করেও ফ্রিজে ঢোকাবেন না। জেনে নিন কোন কোন ফল বা সবজি ভুলেও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
পাউরুটি : বেশি দিন পাউরুটি ভালো রাখতে অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন। এতে পাউরুটি আরও বেশি করে শুকিয়ে যায়। এর গুণমানও চলে যায়। তাই পাউরুটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
মধু : দীর্ঘদিন মধু সংরক্ষণ করতে অনেকেই তা ফ্রিজে রেখে দেন। মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ এর ফলে নষ্ট হতে থাকে। তাই ফ্রিজে না রেখে বরং একটি অন্ধকার কোনো জায়গায় রাখতে পারেন। মধু অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
পেঁয়াজ, আদা ও রসুন : রসুন ও পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। খুব কম এবং আর্দ্র তাপমাত্রায় পেঁয়াজের স্টার্চ শর্কতাতে রূপান্তরিত হতে পারে। এতে পেঁয়াজ খুব নরম হয়ে যায়।
এমনকি নষ্টও হতে পারে। পেঁয়াজের মতো রসুনও ফ্রিজে রাখবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঘরে রাখাই শ্রেয়। এতে দীর্ঘসময় রসুন সতেজ থাকবে। ফ্রিজে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আদাও ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়।
তরমুজ : বাইরের গরম থেকে ফিরে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা তরমুজ খেলে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। তবে তরমুজ কেটে ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিত নয়। তরমুজের উপকারী গুণ এতে নষ্ট হয়ে যায়। ফল সবসময় টাটকা খাওয়া ভালো।
আলু : ফ্রিজে না রেখে আলু সবসময় ঝুড়িতে করে খোলা জায়গায় রাখলেই ভালো। ফ্রিজের তাপমাত্রা আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটকে নষ্ট করে দেয়। রান্না করার পর আলুর স্বাদ বদলে যেতে থাকে।
টমেটো : টমেটো প্রায় সবাই ফ্রিজে রাখেন দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এ আশায়। কিন্তু এমনটি করতে যাবেন না। কারণ ফ্রিজে টমেটো রাখলে এর স্বাদ ও আকারের পরিবর্তন হয়। সেই সঙ্গে এটি তাড়াতাড়ি নষ্টও হয়ে যায়। নষ্ট হওয়ার ভয় থাকলে টমেটো অল্প করে কিনুন। এতে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়বে না।
শসা : শসাকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখলে তাতে দ্রুত পচন ধরতে শুরু করে। তাই শসা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। দীর্ঘদিন ফ্রিজে শসা রাখলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
কলা : কলা সবসময়ে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কলা কাঁচা থাকলেও তা পেকে যায়। তবে ফ্রিজে কলা রাখলে তা দ্রুত পচন ধরে। ফলে ফ্রিজে কলা রাখলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ফল বা ড্রাই ফ্রুটস, গুঁড়া মসলা, যেকোনো পিঠা, মিষ্টি, কেক, কুকিজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
সময়ের আলো/আরএস/