প্রকাশ: রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ৬:২৮ পিএম (ভিজিট : ৫৯৮)
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের অনিয়মের বলি হয়েছেন দুই নারী। ভাতার আওতাভুক্ত এই দুই নারীকে মৃত দেখিয়ে ভাতার তালিকা থেকে বঞ্চিত করেছে সমাজসেবা দপ্তর। অথচ এই দুই নারী আজও বেঁচে আছেন।
জীবিত থেকেও মৃত দুই নারীর একজন প্রতিবন্ধী আরেকজন বয়স্ক বিধবা। প্রতিবন্ধী নাসিমা আক্তার (১৭) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স’মিল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদের মেয়ে। আর বয়স্ক বিধবা ধনেশ্বরী রানী (৭৩) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাঁঠালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ভবেশ চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী।
ভুক্তভোগীরা জানায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসনা আক্তার ২০২১ সালে ও বিধবা বৃদ্ধা ধনেশ্বরী রানী ২০১৮ সালে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার আওতাভুক্ত হয়ে ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগীরা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তারা মৃত! ফলে তাদের ভাতা বাতিল হয়েছে।
প্রতিবন্ধী নাসিমা আক্তারের মা চম্পা বেগমের অভিযোগ, কেউ ভুল তথ্যে তার মেয়ের নামের প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করেছে।
বৃদ্ধা ধনেশ্বরীর জানান, গত দু’বছর থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলে তা দিয়েই ঔষধ পত্র দু-বেলা খাবার জোগাড় হতো। হঠাৎ সেই ভাতা বন্ধ হওয়ায় তিনি চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। কিভাবে তাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ করা হলো তা তিনি ভাবতে পারছেন না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও সাইদুর রহমান তালুকদার এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, যাচাই বাছাইকালে হয়তোবা তাদেরকে খুঁজে না পাওয়ায় অথবা সার্ভার সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। সার্ভার খুললেই যেসব ভাতাভোগীর তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে তারা পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, ভাতা থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে আবেদন পেয়েছি। সমস্যার সমাধান করা হবে।
সময়ের আলো/আরআই