প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ১১:০৬ পিএম (ভিজিট : ৪০০)
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এঘটনায় ৩ জনকে দেশিয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ভায়না ইউনিয়নের ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০), শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০) ও মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৩৫)। অন্যান্য আহত এবং আটককৃদের তাৎক্ষনিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা নির্বাচী প্রচার কাজ করছিলেন। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোট আকারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের উপরে চড়াও হয় তারা। এসময় পুলিশের সঙ্গে শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হোন।
এবিষয়ে ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এখন তাদের লোকজন কিভাবে আহত হয়েছে পুলিশই ভালো বলতে পারবে।
এব্যাপারে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ যাওয়া আগেই সেখানে ওহাব ও শাহীন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে সেখানে আরো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিততে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে দেশিয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
তবে হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘ভোট নিয়ে কথাকাটাকাটির একজন প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামের আমার এক সমর্থককে মারধর করে। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে সাবেক মেয়র উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল ওহাব বলেন, সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে শাহীন। আমার লোকজন সমর্থকদের উপরে হামলা করছে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে তারা সন্ত্রাস করছেন। প্রতিকার চেয়ে পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কোন কিছুই হচ্ছেনা। পৌরসভার মেয়র রেজা প্রকাশ্যে আমার সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভাবে নির্বাচন হলে মানুষ ভোট দিতে যাবেনা। ভায়না চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা করেছে শাহীনের লোকজন প্রাণ ভয়ে আমাকে জানালে তাকে পুলিশকে জানাতে বলেছি। পুলিশ এলে তারা তাদের উপরে হামলা করে কত সাহস দেখেছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই আর ওরা সন্ত্রাস করে নির্বাচন করতে চায়।
সময়ের আলো/জিকে
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!