প্রকাশ: বুধবার, ১ মে, ২০২৪, ৪:৩৪ পিএম (ভিজিট : ৭৬২)
বিপুল পরিমাণ কচুরিপানায় ঢাকা পড়েছে বানার ও শীতলক্ষ্যা নদী। এতে কাপাসিয়া-তরগাঁও অংশে খেয়া পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার উত্তরের ৮ ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হয়। কিন্তু কচুরিপানার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন নদীর পাড়ের মানুষেরা। প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে নদী দিয়ে আঞ্চলিক পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জেলে ও খেয়া পারাপারের মাঝিরা।
কাপাসিয়া উপজেলার নারায়ণপুর, দস্যু নারায়ণপুর, সাফাইশ্রী, তরগাঁও, উত্তর খামের গ্রাম হয়ে ইকুরিয়া পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা গেছে পুরো এলাকার নদীপথ কচুরিপানায় ছেয়ে আছে। নৌকা চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে মাঝি ও জেলেদের। কচুরিপানা অতিক্রম করতে প্রতিটি নৌকা দুই তিন জন করে চালাচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে বড় বড় লগি। তবুও নদী পার হতে সময় লাগছে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট। যেখানে পূর্বে সময় লাগতো ৮-১০ মিনিট।
কাপাসিয়া-তরগাঁও খেয়াঘাটের মাঝি বাদল মিয়া সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ঘাটে ৩০-৩৫টি নৌকা বাঁধা থাকতো। কচুরিপানার কারণে বর্তমানে ৪-৫টি নৌকা বাধ্য হয়ে যাত্রী পারাপার করছেন। যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাদের আয়- রোজগারও আগে থেকে অনেক বেশি কমে গেছে বলে জানান।
কচুরিপানা সমস্যা নিয়ে নদী পাড়ের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরই কচুরিপানার পরিমাণ বাড়ছে, সঙ্গে ভোগান্তিও বাড়ছে। বছরের মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু করে জুন ও জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত নদীতে কচুরিপানা জমে থাকে। এ সময়টুকুতে জীবিকা আটকে যায় নদী নির্ভর সব পেশার মানুষের। জীবনযাপনে জটিলতা নেমে আসে। ইঞ্জিন ছাড়া নৌকাগুলোকে একেবারে বসে থাকতে হয়। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পণ্য পরিবহনেও থাকে নানা জটিলতা। এই সময় নৌকা চলাচল প্রায় থাকে না বললেই চলে।
উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মৈশন গ্রামের এক নারী বলেন, আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নদী পার হয়েছি। কচুরিপানার জন্য আর এখান দিয়ে আসা সম্ভব নয়। এই ভোগান্তি দূর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সময়ের আলো/আরআই