প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:২৫ পিএম (ভিজিট : ৬৬০)
চলমান তীব্র তাপদাহে গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যায়। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তাপদাহে বেঁকে যাওয়ায় ওই রুটে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন আড়িখোলা স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে। পরে বেঁকে যাওয়া রেল লাইন মেরামত করার পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনার পর ডাবল লাইনের অন্য আরেকটি রুট দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক স্বাভাবিক রাখা হয়।
আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অধীনে কর্মরত কি-ম্যান (দড়িপাড়া-বড়নগর) বাদশা মিয়া জানান, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে টহল ডিউটির পরামর্শ দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। পরে আড়িখোলা-পূবাইল স্টেশনের মাঝখানে চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে টহলরত রেলওয়ে কর্মচারীরা রেল বাঁকা দেখতে পায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষারত থাকে। পরে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ওই ট্রেনটি ধীর গতিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে তিতাস কমিউটার নামের আরও একটি ট্রেন ধীর গতিতে ওই বেঁকে যাওয়া স্থান অতিক্রম করে। আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার দিলীপ চন্দ্র দাস জানান, চলমান তীব্র তাপদাহে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের আড়িখোলা স্টেশনের অদূরে (পশ্চিম দিকে) চুয়ারিয়াখোলা এলাকার কাজী বাড়ি নামকস্থানে এ অন্তত ১৫ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি রেলওয়ের টহলরত কর্মচারীদের নজরে আসায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। পরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সাময়িক বন্ধ করা হয়। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়িখোলা স্টেশনে যাত্রা বিরতিতে থাকে। পরে ঢাকা রেল প্রকৌশল বিভাগে জানানো হলে প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রেললাইন মেরামত করা হলে রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি, কচুরিপানা ও কাঁদা মাটি দিয়ে বেঁকে যাওয়া অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ওই অংশ মেরামতের পর দুটি ট্রেন ধীর গতিতে গন্তব্যে চলে যায়।
সময়ের আলো/আরআই