ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নান্দাইলে স্কুল খুললেও অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:২০ এএম আপডেট: ৩০.০৪.২০২৪ ৬:৩৪ এএম  (ভিজিট : ৬২৩)
পবিত্র রমজান, ঈদের বন্ধের পর তীব্র গরমের কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর গত রোববার খুলে দেওয়া হলেও স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি নেই বললেই চলে। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। কিন্তু নান্দাইল উপজেলার বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। কয়েকটি বিদ্যালয়ে তো নামমাত্র শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকায় ক্লাসও নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের বাইরে গিয়ে স্কুল আঙিনায় গাছতলায় বসে থাকতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে গিয়ে যে কজন শিক্ষার্থী এসেছে তাদের নিজ নিজ ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাঙ্গামাটিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায় সব শিক্ষক হাজির হননি, কোনো শিক্ষার্থীও আসেনি। কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী হাজির হয়। প্রধান শিক্ষক জাকির আহমেদ তুহিন জানান, প্রচার করার পরও শিক্ষার্থীরা আসছে না। আশা করছি গরম একটু কমলেই হাজিরা বাড়বে।

ধরগাঁও সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীও হাজির হয়নি। প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান কামাল জানান, তীব্র গরম ও কাম-কাজের (ধান কাটার সময়) দিন হওয়ায় শিক্ষার্থী কম এসেছে। পথিমধ্যে দেখা হয় ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আল-আমিনের সঙ্গে, সে জানায় মর্নিং স্কুলের বিষয়টি নাকি সে জানে না। পালাহার সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে মাত্র দুজন শিক্ষার্থী বই-খাতা নিয়ে বসে আছে। শিক্ষার্থী লামিয়া জানায়, গরমের কারণে কেউ আসেনি। প্রধান শিক্ষক একেএম নুরুল আলম জানান, এই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১৮ জন। হঠাৎ বিদ্যালয় খোলার বিষয়টি অনেকে জানে না।

অরণ্যপাশা সরকারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায় তিনজন শিক্ষার্থী মিলে ক্লাসরুমে বেঞ্চ পরিষ্কার করছে। শিক্ষকরা অফিসরুমে বসে আছেন। তখন পর্যন্ত কোনো ক্লাস হয়নি বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় মাঠের বাইরে একটি গাছের ছায়ায় বসে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্রাম নিচ্ছে। এতদিন টিনের যে ছাপড়া ঘরে তাদের ক্লাস হতো তীব্র গরমের মধ্যেও সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থী বই-খাতা নিয়ে ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছে।

অন্যদিকে নতুন স্থাপিত একটি ভবনে শ্রেণিকক্ষ স্থানান্তর হবে বলে ঝাড়ুদার নিযুক্ত থাকলেও সেটি ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছে কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষিকা নুরুন্নাহার ফেরদৌসী জানান, গরমে ওই ছাপড়া ঘরে পাঠদান সম্ভব হবে না বলেই নতুন ভবনটি ব্যবহার উপযোগী করছেন।

সিংরইল সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো ক্লাস হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

মহাবৈ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ঝাড়ুধার থাকার পরও দুজন শিক্ষার্থী ন্যাকড়া দিয়ে বেঞ্চ পরিষ্কার করছে। পঞ্চম শ্রেণিতে ৮ ও চতুর্থ শ্রেণিতে ২ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষক আবদুল কাইয়ুম জানান, তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৬ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসার পরও অসহ্য গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা আসেনি।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজিলাতুন্নেছা বেগম জানান, হঠাৎ করে খোলা হওয়ায় সঠিক সময়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা যায়নি। তাই হয়তো দুয়েকটি বিদ্যালয়ে এমন হতে পারে। তবে দুয়েক দিনের মধ্যে হাজিরা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

সময়ের আলো/জেড আই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close