পুলিশের মামলায় নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

প্রকাশ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম (ভিজিট : ৫১৪)

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় পৃথক মামলা দুটি দায়ের করা হয়।

একটি মামলায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর হুছাইন ইবনে ভুলুকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।

মামলায় চেয়ারম্যান ভুলু এবং নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য আরেকটি মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল (রোববার) তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারমানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর লোকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলমের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড গ্যাস সেল ও দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

এ ঘটনায় সদর থানার (উপ-পরিদর্শক) মো. কাউসার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই সময় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাঁধা দেয়। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে রাতেই পুলিশ নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে আটক করা হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওমর ফারুক হুসাইন ইবনে ভুলু আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী পেয়েছেন অটোরিকশা প্রতীকে ৬ হাজার ২৩৯ ভোট। ভুলু ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি।

সময়ের আলো/আরআই