ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
ডিজিটাল ডিভাইসে প্রশ্ন ফাঁস, ঢাবির জগন্নাথ হলে সমাধান
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:২১ পিএম  (ভিজিট : ৬১৬)
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এই পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন ঢাবির দুই শিক্ষার্থী। আর এই চক্রের হোতা তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থীর চাচা। তবে চক্রের হোতা সেই চাচাকে এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ।

এঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন, ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মন্ডল (৩০)। জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এই পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, সেই জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। প্রথমেই ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, গ্রেফতার ওই দুই শিক্ষার্থী পুলিশকে জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছিলেন। চাচা অসীম গাইনের তাকে প্রশ্ন দিয়েছিলেন। প্রশ্ন সমাধানে প্রতি প্রশ্নে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে দেন। এই প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে প্রশ্নের সমাধান করেন এবং চাকরি প্রত্যাশী ওসব শিক্ষার্থীর ফোনে পাঠিয়ে দেন।

ডিবি প্রধান বলেন, পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই অসীম পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। চুক্তি করা পরীক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের পাঠিয়ে দেন।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছেন, তাতে এই চক্রের হোতা অসীম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এই মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close