ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদ অভিযানে ‘রাজনৈতিক বাধা’
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:১৮ পিএম আপডেট: ২৫.০৪.২০২৪ ৯:৪৯ পিএম  (ভিজিট : ৯০৬)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নবীনগর টু কোম্পানীগঞ্জ সড়কের জিনদপুর ইউপি'র বাঙ্গরা বাজারে রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের বছর না পেরোতেই সরকারি খালসহ সড়ক ও জনপদের জায়গা আবারও দখলে নিয়ে আরসিসি পিলার এবং টিনশেডের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন ভূমি দস্যুরা। প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ এসব দোকানপাট গড়ে উঠায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়তই নানাবিধ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এ বাজারটির দুই পাশের সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) এর জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে ব্যবসা করে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা। কয়েক দফায় উচ্ছেদ অভিযান হলেও কি এক অদৃশ্য শক্তির কারণে পুনরায় আবারও একই জায়গায় দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে, যেন দেখার কেউ নেই।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নীরবতায় স্থানীয়দের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিবছর সওজের নোটিশ নিয়ে বাণিজ্যের খবর পাওয়া গেছে।

এ বাজারে টাকার বিনিময়ে মিলছে দখলদারদের অবৈধ দোকান। গাজীপুর এলাকার হাবিব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ইমন জানান, মালাই গ্রামের দিদার মিয়ার কাছ থেকে প্রতি বছরের জন্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে দোকান চালাচ্ছি।

বাঙ্গরা বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকান নির্মাণকারী মহসিন জানান, বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির আশ্বাসেই আমরা দোকান নির্মাণ করেছি। 

মুরাদনগর থানার খামারগ্রাম গ্রামের মতিন মিয়া নবীনগর উপজেলার ভাঙ্গরা বাজারে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের কাছ থেকে কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের কাছ থেকে কোন অনুমতি নাই। তবে বাজার কমিটি বিষয়টি জানেন।

সারা বাজার জুড়ে চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। যাত্রী ছাউনিতে বসেছে সেলুনের দোকান। ব্রিজের উপরে বসেছে চায়ের দোকান। অবৈধ দখলের কথাটি স্বীকার করে বাজার কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউলের ভাই বাশার সহ একাধিক দখলদার বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার উচ্ছেদ করা হয়েছে, পেটের তাগিদে আমরা আবারও দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করছি। সরকারের যখন প্রয়োজন হবে আমরা জায়গাটি ছেড়ে দেবো।

এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে দখলকারী দোকানের বৈধতা পাওয়ার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রভাবশালী মহলে মোটা অংকের টাকার বিনিময় চলছে।

অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি মো. রবিউল সময়ের আলোকে বলেন, নিজ নিজ দায়িত্বে তারা পুনরায় দোকানপাট নির্মাণ করছে। এখানে টাকার বিনিময় হচ্ছে এই বিষয়ে আমার জানা নেই।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ সময়ের আলোকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা অবগত আছি। নির্বাচনের আগেও রাজনৈতিকভাবে আমাদের উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা প্রধান করেছিলো, উচ্ছেদ কার্যক্রম হতে দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব আমরা আর বিবেচনায় নেব না। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।’

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম সময়ের আলোকে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে এসিল্যান্ড অফিসের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি,  যে সকল জায়গায় অবৈধ দখল হচ্ছে এগুলো সওজের জায়গা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  সরকারি জায়গা দখল   অবৈধ স্থাপনা   উচ্ছেদ-অভিযান-বাধা   নবীনগর   ব্রাহ্মণবাড়িয়া   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close