বৈশাখের শুরুতে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মাগুরার শালিখাবাসী। মাঠ-ঘাট, পুকুর-জলাশয় শুকিয়ে কাঠ। পানির অভাবে ফসলের মাঠ শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। প্রচণ্ড গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই!
শিশু ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়ছে গাছ-গুল্ম-লতা, প্রাণিকুলও বিপর্যস্ত।
জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও হামসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে তীব্র তাপদাহের কারণে বেশী বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও কৃষক। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। ছোট ছোট শিশুরা দলবেঁধে পুকুরে ও নদীতে নেমে পড়ছে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে। অসহনীয় তীব্র গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গভীর নলকুপেও উঠছে না পানি। দুপুরে রাস্তা ঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বাড়ছে হিটস্টক জনিত রোগ। উপজেলা সদর আড়পাড়া গড়াপাড়া গ্রামের কৃষক উদ্যোপ মণ্ডল বলেন, সূর্যের তাপ এতো যে ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। মাঠে গিয়ে ধান কাটবো কি ভাবে বুজতে পারছিনা। ভাটোয়াইল গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন- ১৫/১৬ বিঘা জমি চাষ করেছি, এই গরমে ধান কাটতে মাঠে নামতে পারছিনা,তাছাড়া শ্রমিকের মুজুরীও অনেক। আড়পাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আলিম মোল্যা বলেন, রোদ্রের এতো তাপ কোন ক্রমেই ভ্যান নিয়ে রাস্তায় যেতে পারছিনা। তাছাড়া নলকুপেও পানি উঠছে না।
সময়ের আলো/এএ/