প্রকাশ: সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:০৬ পিএম (ভিজিট : ৩৮৬)
বান্দরবানে চলতি মাসে ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা ও নিরাপত্তার কর্মীদের অস্ত্র লুটের পৃথক মামলায় কেএনএফ সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ২ নারীসহ ৭ জনকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে দুই দিন ও দুই নারীকে কারাগারের ফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১টায় বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, রুমার অস্ত্র লুটের মামলায় তিনজন ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি মামলায় দুইজনকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে থানচি-রুমার একই মামলায় দুই নারীকে কারাগারের ফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানচি ব্যাংক ডাকাতি মামলায় জেমিনি বম (২০), আসেলং বম (১৯), ভাননুম নুয়াম বম (২৩) ও রুমার অস্ত্র লুটের মামলায় লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), ভান নুয়াম থাং বম (৩৭) ভান লাল থাং বম (৪৫) ও লাল লিয়া সিয়াং বম (৫৭) তাদেরকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচজনকে দুইদিন ও দুই নারীকে কারাগারের ফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এরআগে, বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ৫৪ জনকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। একই দিনে এক নারীকে কারাগারের ফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত ২১ জন নারীসহ ৬৬ জনকে থানচি ও রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই