ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

অভিযোগ থাকলেও তথ্য না দিয়েই বিদায় নিলেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান
প্রকাশ: রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:২০ পিএম  (ভিজিট : ৫৪৮)
সদ্য বিদায় নেওয়া গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। ফাইল ছবি

সদ্য বিদায় নেওয়া গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করা হলেও তা প্রদান না করেই বিদায় নিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। রোববার (২১ এপ্রিল) ছিল তার শেষ কর্ম দিবস। 

গাংনী উপজেলায় কর্মরত জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিক উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু অদ্যাবধি এ তথ্য তিনি প্রদান করেননি। তথ্য প্রদানে সহায়তা না করায় সেই অনিয়মের বিষয়গুলো আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, এমএ খালেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর উপজেলা পরিষদের দৈনন্দিন কর্ম সম্পাদন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারি অনুদান খেলার সামগ্রী প্রদান, সংস্কার কাজ ও ফলকর গাছ দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয়ের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ফুটবল কেনার ক্ষেত্রে খরচ করা হয়েছে এমন গুঞ্জন ছিল অফিস পাড়াসহ উপজেলা জুড়ে। এসব বিষয়ে প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ২০২০-২০২১ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের যাবতীয় আয় ব্যয়ের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন।

আরো জানা গেছে, আবেদনপত্রটি অফিশিয়াল সিল মোহর দিয়ে গ্রহণ করা হলেও অদ্যাবধি তার কোন জবাব দেয়া হয়নি। এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, উপজেলা পরিষদের প্রতিটি প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। একজন কর্মচারীর যোগসাজশে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। ভুয়া বিল ভাউচার করার অভিযোগও রয়েছে। প্রতিটি ভিন্ন মাদরাসায় বেঞ্চ সরবরাহ করার সময় প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর নিলেও বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়েছে তার অর্ধেক।

এদিকে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান প্রথম আবেদন তথ্য না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল এবং সেখানে তথ্য না পেলে তথ্য কমিশনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ওই তথ্যের জন্য আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান-এমএ খালেক   মেহেরপুর   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close