ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পাবনায় হাসপাতালে শয্যা সংকট, ৭ দিনে ৬ শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ: রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৮:৪৫ পিএম  (ভিজিট : ৬৫৬)
চলতি বছরে গরমে ক্রমেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। শিশু ও ডায়েরি ওয়ার্ড এ তিল ধরনের ঠাঁই নেই। তবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ। বারান্দার মেঝেতে থাকা রোগীদের জন্য নেই কোন ফ্যান ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ওয়ার্ড গুলোর ভেতরের ওয়াশরুম-টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ যা ব্যবহার অনুপযোগী বলা চলে। বেশিরভাগ রোগীদের বাহির থেকে ওষুধসহ কলেরার স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে ওয়ার্ডগুলোর পাশে নেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। সকলকেই বাহির থেকে পানি নিয়ে এসে খেতে হয়।

২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছে ৫৪৩ জন। এর মধ্যে শিশু বিভাগে ৪২ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৫৩ জন আর ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ১৪ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই বিশেষ করে চৈত্র-বৈশাখ মাসের এই সময় আর শীতকালীন সময়ে বছরের এই দুই মৌসুমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে সবসময়। গত এক সপ্তাহে শিশু বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬ জন।

অতিমাত্রায় তাপপ্রবাহের কারণে পানি বাহিত ও গরম ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা শ্বাসকষ্ট জ্বর ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভর্তি হচ্ছে বেশির ভাগ রোগী। আবার অনেকেই শয্যা সংকটের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে চলে যাচ্ছেন বাড়িতে। রোগীর চাপ এতোটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা বহির বিভাগে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসক দেখানোর টিকিট কাউন্টারে সম্মুখে মানুষের ভিড় দেখলেই বোঝা যায়।

এদিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে জেলার সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরছেন। গতকালকে জেলাতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টা ও দুপুর ৩টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার (২১ এপ্রিল) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ক্রমেই বেরে চলেছে তাপপ্রবাহ। গতকাল তাপ প্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
এদিকে প্রচণ্ড তাবদাহের কারণে জেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে পারছেনা তারা। অল্প সময়ের কাজেই হাঁপিয়ে উঠছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছেনা কেউ। আবার যারা বের হচ্ছেন কারা ছাতা বা মাথায় টুপি পরে বের হচ্ছেন।

এই গরমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম  বলেন, এতো রোগীর চাপ জেলা সদরের এই একটি সরকারি হাসপাতালে সঠিক ভাবে সেবা দেয়া খুব কঠিন কাজ। আমরা চেষ্টা করছি বহির বিভাগ থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা দিতে। সরকার আমাদের যা দিয়েছে সেটা দিয়ে চেষ্টা করছি। শিশু রোগী বৃদ্ধির কারণে জরুরি ভাবে আরো দুটি কক্ষে শিশু রোগী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

তিনি আলো বলেন, সবাইকে একটু সতর্ক হতে হবে। এখন পানি বাহিত ও গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট বড় সকলেই। তাই বেশি বেশি করে বিশুদ্ধ খাবার পানি খেতে হবে। ঠাণ্ডা রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। বাহিরের খাবার অতিরিক্ত মসলা বা তেল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হলে খাবার স্যালাইন, লেবুর সরবত খেতে হবে। আর শারীরিক কোন ধরনের সমস্যা মনে হলে সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে চলতে হবে বলে জানান তিনি।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  শয্যা সংকট   রোগীর চাপ   শিশুর মৃত্যু   পাবনা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close