ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধির সময় ধরা পড়ে নকশার জটিলতা
৭ বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণের কাজ
প্রকাশ: রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:৩০ এএম  (ভিজিট : ৪৮২)
আড়াই বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নড়াইল উপজেলার কালিয়া বারইপাড়া নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ সাত বছরেও শেষ হয়নি। ২০১৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে বারবার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের এপ্রিলেও শেষ করতে পারেনি। নকশায় ত্রুটি থাকায় নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে সেতুর নির্মাণ ব্যয়ও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কয়েক দফায় সময় ও অর্থ বেড়ে এখন ব্যয় গিয়ে ঠেকেছে ১২৫ কোটি ৯২ লাখ ৩১৫ টাকায়। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, সেতু নির্মাণের বাকি কাজ ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। 

এ বিষয়ে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। নকশা পরিবর্তনের কারণে আলাদা টেন্ডার করা হয়েছে। টেন্ডারটি লাইভে আছে। আশা করি ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

কালিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, কালিয়ার মানুষের স্বপ্নের এ সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে উপজেলাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। তাই দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলা শহর থেকে কালিয়া উপজেলা শহর, ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে পৃথক করে রেখেছে নবগঙ্গা নদী। ফলে কালিয়া উপজেলাবাসীকে যোগাযোগে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেই ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার বারইপাড়া খেয়াঘাটে ২০১৭ সালে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নড়াইল-কালিয়া সড়কের ২১ কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর ওপর ৬৫১.৮৩ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থের বারইপাড়া সেতু নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৫ কোটি টাকা। সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছিলেন যশোরের ঠিকাদার মইনুদ্দীন বাসী ও জামিল ইকবাল। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন নির্দিষ্ট সময় শেষে কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে আরও তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শেষ সময়ে অর্থাৎ চতুর্থবার মেয়াদ বৃদ্ধির সময় ধরা পড়ে নকশার জটিলতা। সেতুর ছাদের কিছু অংশ নির্মাণকাজ শেষে দেখা যায় সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচল করতে পারছে না। পরে নকশা পরিবর্তন করে উঁচু করে সেতু নির্মাণের জন্য নতুন নকশা অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় বাড়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। স্থানীয়রা বলছেন, সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে নড়াইল জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে কালিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। ফলে তাদের ভোগান্তি কমবে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

কালিয়া উপজেলার যাদবপুরের বাসিন্দা মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমরা রোগী নিয়ে যদি খুলনা বা নড়াইল যেতে চাই তা হলে খেয়া পারের জন্য আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় রাতে নৌকা পাওয়া যায় না। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই আবেদন, সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ পথ দিয়ে চলাচলকারী এরাদত হোসেন বলেন, নড়াইল, কালিয়া, খুলনা, যশোর, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে পার হয়। অনেক সময় লাগে খেয়া পার হতে। ঘাটগুলো ভালো না, ব্রিজটা হতে গিয়েও হচ্ছে না।আমরা খুব দুরবস্থার মধ্যে আছি।

সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close