ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
প্রকাশ: রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪, ৩:১৭ এএম আপডেট: ২১.০৪.২০২৪ ৭:২৫ এএম  (ভিজিট : ৩৬১)
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাধা পড়িয়া আছে।’ বইয়ের সংগ্রহশালা পাঠাগার বা লাইব্রেরিকে এভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে চেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সংযোগ স্থাপন, প্রজন্ম এবং সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করার জন্য মানবজীবনে বইয়ের অবিস্মরণীয় ভূমিকা রয়েছে। মানুষের জীবনের অনিশ্চিত সময়ে আশ্রয় হিসেবে বইকে বেছে নিয়েছেন বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান মানুষ। নিঃসঙ্গ জীবনে বই হতে পারে কারও একমাত্র বিশ্বস্ত সঙ্গী। শুধু শিক্ষা দানের বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম ছাড়াও বিনোদনের অনন্য ক্ষমতা রয়েছে বইয়ের।

বই পড়ার মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ উপলব্ধি করা যায়। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া শুধু বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের সফল হয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। বই এবং লাইব্রেরিকে নিজের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রাখা একজন বিরলপ্রাণ মানুষ হলেন ১৯০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া বরিশালের লামচরির আরজ আলী মাতুব্বর। স্বশিক্ষিত দার্শনিক, মানবজীবন, প্রকৃতি-পরিবেশ, জড়জগৎ ও বিশ্বসংসার থেকে পাঠ গ্রহণ করেন। বই পড়তে তিনি বরিশালের সব লাইব্রেরি চষে বেড়ান, জ্ঞান আহরণে নিজেকে ব্যাপৃত রাখেন। ৮৬ বছরের জীবনকালে ৭০ বছরই তিনি লাইব্রেরিতে কাটিয়ে দিয়েছেন। নিজস্ব মতবাদ গড়ে তোলেন দার্শনিক, চিন্তাবিদ, লেখক আরজ আলী মাতুব্বর। লেখেন ‘সত্যের সন্ধান, সৃষ্টিরহস্য, অনুমান, মুক্তমন। পান বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্যপদ। এ ছাড়া বহু পুরস্কার এবং সম্মাননায় ভূষিত হন মানবতাবাদী আরজ আলী মাতুব্বর। জ্ঞান বিতরণের জন্য তার অর্জিত সম্পদ দিয়ে বাড়িতে গড়ে তোলেন ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরি’। তার প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরিতে রয়েছে অনেক দুর্লভ গ্রন্থ।

পঞ্চাশ-ষাটের দশকে যারা এ দেশে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত ছিলেন তারা সবাই ক্লাসে হাতে করে এক গাদা বই নিয়ে আসতেন। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি থাকত সুখপাঠ্য গল্পের বই। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বাইরে ওইসব বই পড়তে উৎসাহিত করতেন। সেই সময়ে স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের বিশেষ কোনো গ্রন্থাগার না থাকলেও প্রায় সব সরকারি স্কুলে, বিশেষ করে জেলা শহরের স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের বসার ঘরে বড় আলমারিতে বেশ কিছু বই থাকত। শিক্ষকরা সেখান থেকে বই নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করতেন। অবসর সময়ে শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা হতো শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। শিক্ষকের বসার কক্ষে ছাত্রদের যাওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না। তবে শিক্ষকদের কাছে গিয়ে যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করতে কোনো বাধা ছিল না। জানার আগ্রহকে শিক্ষকরা সবসময়ই উৎসাহিত করতেন। তখনকার দিনে একেকজন শিক্ষক ছিলেন পণ্ডিত ব্যক্তি। তারা সবাই প্রতিটি বিষয় ভালো পড়াতে পারতেন। কলেজে লেখাপড়ার পরিধি ছিল আরও বিস্তৃত। কলেজের কৃতী শিক্ষকরা কলেজ লাইব্রেরি এবং বাইরের যেকোনো পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তে প্রাণিত করতেন।

গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেক প্রাচীন। ভাষা সৃষ্টির আগে থেকেই গ্রন্থাগারের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। মুদ্রিত বই-পুস্তক না থাকলেও গ্রন্থাগার ছিল তখন প্রাচীন যুগ থেকে। নিম্ন মেসোপটেমিয়ার প্রাচীন রাজবংশীয় রাজাদের ইতিহাস লেখা শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব মধ্য-তৃতীয় সহস্রাব্দে কীলকাকার বর্ণমালা দিয়ে। এর ধারাবাহিকতায় বেবিলনীয় সাম্রাজ্যের সময় শহর এবং মন্দিরগুলোতে গ্রন্থাগার গড়ে ওঠে। সেই সময় পুরুষ এবং নারী উভয়ই পড়তে ও লিখতে জানত। খ্রিস্টের জন্মের পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে গ্রন্থাগারের অস্তিত্ব ছিল। প্রাচীন গ্রিসেও লাইব্রেরির অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। একটি লাইব্রেরি মানুষের অজানা এবং অদেখা সম্পর্কে জ্ঞান দান করে। কল্পনা জগৎকে অবারিত করে দেয়। অষ্টম থেকে একাদশ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধ বিহারগুলো ছিল বিদ্যার্চ্চার কেন্দ্রস্থল। সে সময়ে বৌদ্ধ আচার্যগণ অনেক তত্ত্বমূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন যা আজ বিলুপ্তপ্রায়। তবে চীন, তিব্বত ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন গ্রন্থাগারে সেসব গ্রন্থের কিছু অনুবাদ সংরক্ষিত হয়েছে। মানবসভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে লাইব্রেরি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ার অতি প্রাচীন বিশাল লাইব্রেরিতে সাত লাখ গ্রন্থের সংগ্রহ রয়েছে বলে জানা যায়। এসব গ্রন্থ গ্রিস, পারস্য, মিসর, ভারতসহ অন্যান্য স্থান থেকে সংগৃহীত। বিশ্বখ্যাত বাগদাদের ‘বাইতুল হিকমা’ (জ্ঞানের ভান্ডার) লাইব্রেরি স্থাপিত হয় ৮৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এত ধ্বংসযজ্ঞের পরে আজও বাগদাদের মুতানব্বি স্ট্রিটে বহু পুরোনো গ্রন্থের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া স্পেন, রোম, চীন, এথেন্সেও বহু পুস্তক সংবলিত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অতি প্রাচীনকালে।

গ্রন্থাগারের বইয়ের বিপুল ভান্ডারে সঞ্চিত থাকে মানবসভ্যতার শত বছরের ইতিহাস। গ্রন্থাগার গড়ে তোলে মানুষের অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের মধ্যে এক দৃঢ় সেতুবন্ধ। বর্তমান সময়ে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে বই সংরক্ষণ, পাঠকের মধ্যে বিতরণ করে পুরো পাঠাগার কার্যক্রম পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার উন্মেষ ঘটাতে দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হবে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। সেখানে নিয়মিত পড়ে ওদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ করে দিতে হবে। শিক্ষাক্রমে লাইব্রেরি-ওয়ার্ককে করতে হবে বাধ্যতামূলক। পাঠাগারের বৃহত্তর উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। উধাও হয়ে যাওয়া পাঠাগার আবার মুখরিত হয়ে উঠবে দেশের গ্রাম-শহরের পাড়া-মহল্লা। পাঠাগার নতুন প্রজন্মকে আলোর মুখ দেখাবে।

একসময় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নানা রূপে গ্রন্থাগারের ব্যবহার ছিল ব্যাপকভাবে। ব্যক্তি হিসেবেও অনেকে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন, নিজে বই পড়ে জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে বিশ্বনন্দিত হয়েছেন। শখের বসে ষাটের দশকে অনেকে নিজ উদ্যোগে বাড়ির কক্ষে সবার জন্য উন্মুক্ত ছোট্ট পাঠাগার গড়ে তোলেন। দুই-তিনটা আলমারিতে থাকত নতুন-পুরান কিছু বই, লম্বা একটা টেবিল ঘিরে দুই-চারটা চেয়ার। পাড়ার অনেকেই প্রতিদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো বই পড়তে পারতেন। বেশিরভাগ জেলা শহরে তখন ছিল ইউএসআইএস লাইব্রেরি। ইউএসআইএসে বসে বেশ কিছু ইংরেজি বই এবং ইংরেজি বইয়ের অনুবাদ পড়ার সুযোগ মিলত। শহরের কোথাও ছিল সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক লাইব্রেরি। তখনকার দিনে বই পড়ার প্রতি সব বয়সের মধ্যে মানুষের প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা যেত। ষাটের ঢাকায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি ঘিরে ছিল বইপ্রেমীদের প্রধান আড্ডার জায়গা। ভার্সিটি ক্যাম্পাসে এসে পাবলিক লাইব্রেরিতে বই পড়ে, শিক্ষাবিষয়ক নানা আলাপচারিতায় মুখর হতেন যুবসমাজ। এরপর ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে প্রেক্ষাপট। সেসব লাইব্রেরি হারিয়ে যায় ক্রমশ। ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগারগুলো ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে। ইউএসআইএস লাইব্রেরি বিলুপ্ত হয়ে যায়। লাইব্রেরি বলতে মানুষ বুঝতে শুরু করে ‘বইয়ের দোকান’!

১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে ইন্টারনেটের প্রচলনে বই-পুস্তক, তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে সবকিছু কম্পিউটার আর সেলফোনের মধ্যে জায়গা করে নিল। ইলেকট্রনিক মিডিয়া গ্রাস করতে থাকে প্রিন্ট মিডিয়াকে। ফেসবুক, ইউটিউব যেন পুরো সাম্রাজ্য দখল করে নেয়। সব ধরনের লেখাপড়া আজ অনলাইনে চলে। কিন্তু গ্রন্থাগারকে ঠেলে দিয়ে আজও একেবারে নিঃশেষ করে দিতে পারেনি কেউ। বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নত মানের পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি ছাড়াও বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি, ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি রয়েছে। রাজধানীর বাইরে রাজশাহী, খুলনা ছাড়ার অন্যান্য শহরে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত কিছু লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের প্রচলন করে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। 

বই এবং পড়ার আনন্দকে উন্নীত করে তুলতে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘বিশ্ব বই দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়। এটি একটি প্রতীকী তারিখ। এই তারিখে কয়েকজন বিশিষ্ট লেখক-উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, মিগুয়েল ডি সার্ভান্তেস এবং ইনকা গারসিলাসো দে লা ভে গা মারা যান। ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল ইউনেসকো পুস্তক এবং পুস্তক পাঠের লক্ষ্যে দিনটিকে ‘বিশ্ব বই দিবস’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন শুরু করে এবং বিশ্বের ১০০টি দেশে তা পালিত হয়। এ উপলক্ষে ইউনেস্কো এবং বই শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো-প্রকাশক, বই বিক্রেতা এবং গ্রন্থাগারগুলো দিনটি পালনের গুরুত্ব বৃদ্ধিতে তাদের নিজ উদ্যোগে এক বছরের জন্য বইয়ের রাজধানী নির্বাচন করে থাকে। ইউনেস্কো এবার ২০২৪ সালের জন্য ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গকে ‘বিশ্ব বইয়ের রাজধানী’ হিসেবে মনোনীত করেছে।

বিশ্ব বইয়ের রাজধানী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২৩ এপ্রিল ‘বিশ্ব বই এবং কপিরাইট দিবস’ পালনে সাড়া ফেলে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। বিশ্ব বই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে গ্রন্থ পাঠ এবং প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তি ও সংস্থা, যেমন-লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং গণমাধ্যমের সক্রিয় সম্পৃক্ততা বিশ্বের মানুষের বই পড়ার একটি মঞ্চে দাঁড় করিয়ে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। ঘরের আলমারি শোপিসের বদলে ভরে উঠবে নিত্যনতুন বইয়ে। নতুন বইয়ের মিষ্টি গন্ধে মনে প্রাণশক্তির সঞ্চার হবে। মানুষ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে প্রিয়জনকে বই উপহার দেবেন। বয়স নির্বিশেষে সবাই ফিরে আসবেন পড়ার টেবিলে। মা-বাবা, অভিভাবক তাদের সন্তানদের পুস্তক পাঠে উৎসাহিত করবেন। কিনে দেবেন নিত্যনতুন সুখপাঠ্য বই। দেশের কিশোরশ্রেণি ফেসবুকের নেশা ছেড়ে বই পড়ায় মনোযোগী হয়ে উঠবে। পুস্তক পাঠে জ্ঞানার্জন দেশে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশলী

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close