ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঈদ যাত্রায় যানজটের ঝুঁকিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক
প্রকাশ: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:১৮ পিএম  (ভিজিট : ৯৪২)
ঈদ যাত্রায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট হলেও অসহনীয় ছিলো না কোনোকালেই। দেশের অন্যান্য সড়কে প্রতি ঈদের ছুটিতে যে রকম যানজট দেখা দিতো, অনেকে সময়মতো বাড়ি পৌঁছাতে পারতেন না। ৮ ঘণ্টার পথ ১৬ ঘণ্টায়ও শেষ হতো না। এ তুলনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট তেমন একটা হতো না। মহাসড়কের পাশে বাজার কেন্দ্রিক যানজট লাগলেও তা দ্রুত অবসান হতো। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেট বিভাগ অংশে অন্তত ৬টি স্থান যানজটের বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। পুরো সড়কের ৩৬টি স্থানকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা, রাস্তার
পাশে বাজার এবং অবৈধ যান চলাচলের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল সড়ক অক্ষত রয়েছে, সড়কের পাশে উন্নয়ন কাজ চলছে। আর ঈদের আগে কাজ আরো সীমিত করা হবে।

তবে বিষয়টি মানতে নারাজ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। তারা বলছেন, উন্নয়নকাজের জন্য এখনই সড়কে যানজট লেগে থাকে। আর ঈদের ছুটি শুরু হলে তো যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে। আর সাথে সাথে বাড়বে যানজট আর যাত্রী ভোগান্তি। সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ধীরগতিতে মোটেও সন্তুষ্ট নন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারী চালকেরা।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর বাজার সড়ক, অলিপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্বর, শেরপুর, গোয়ালাবাজার থেকে চন্ডীপুল এলাকা যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ স্পটগুলোতে নিয়মিতই যানজট লেগে থাকে। এবার ঈদ যাত্রায় বাজারগুলোর পাশাপাশি সড়কের উন্নয়নকাজের কারণে যানজট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৬ লেনে উন্নীতকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে মহাসড়কের পাশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি ভরাট করার কারণে সড়কে লেগে আছে যানজট। এ সড়কে প্রায়ই উন্নয়নকাজ চলা অংশে যানজট লাগে। তবে তা খুব দীর্ঘস্থায়ী না হলেও যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তির জন্য যথেষ্ট। সড়কের যে যে অংশে উন্নয়ন কাজ চলে সেই অংশেই ১০/২০ মিনিট করে যানজটে আটকরা থাকতে হয়। আর ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বাড়লে যানজটও দীর্ঘস্থায়ী হবে। সড়কে শুধু উন্নয়ন কাজ নয়, মহাসড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেও যানজট বেড়েছে।

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী চত্বর পর্যন্ত ২১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি। মহাসড়কটির সিলেট অংশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট ও ব্রিজ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এক বছরে ২১০ কিলোমিটার সড়কে হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ কাজ।

সিলেট-ঢাকা সড়কের বাসচালক সেলিম মিয়া বলেন, উন্নয়ন কাজ চলার কারণে ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। আবার অনেক জায়গায় যানজটও লেগে থাকে, ফলে এমনিতেই এ সড়কে ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। ঈদের মৌসুমে যানবাহনের চাপ বাড়লে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

ব্যাংকার কামাল হোসেন বলেন, অফিসের কাজে আমাকে প্রায়ই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। উন্নয়ন কাজ চলায় আগের চেয়ে এখন সড়কে দুর্ভোগ বেড়েছে। বৃষ্টিতে কাদা আর রোদের দিনে ধুলোয় একাকার হয়ে যায়। এছাড়া যানজটও অনেক বেড়েছে। ঈদের সময় তা আরও বাড়তে পারে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, মূল সড়কের কাজ শুরু হয়নি। এটি অক্ষত রয়েছে। এছাড়া ঈদের আগে উন্নয়ন কাজ সীমিত করে আনা হবে। ফলে ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগ তেমন বাড়বে না। এছাড়া সড়কের যেসব স্থানে ভাঙাচোরা রয়েছে, সেসব স্থানে ঈদের আগে মেইনটেইন্যান্স করা হবে।

হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ঈদ মৌসুমে এই তৎপরতা আরও বাড়ানো হবে। এছাড়া সড়কে গাড়ি পার্কিং বন্ধেও পুলিশ তৎপর থাকবে, যাতে ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি না হয়।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ঈদ যাত্রা   যানজটের ঝুঁকি   ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close