প্রকাশ: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:০৬ পিএম (ভিজিট : ১০৭২)
ঈদুল ফিতরের বাকী আর মাত্র কয়েক দিন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ক্রেতা সমাগমে ঈদের মার্কেট গুলো ততই জমজমাট হয়ে উঠছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ঈদের কেনাকাটা। এবার সব কাপড়ের দাম বেশি বলে ক্রেতা সাধারণরা অভিযোগ করেন। বিক্রেতারা বলছেন সব মালই চড়া দামে কিনে আনতে হয় তাই দাম বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের মার্কেটগুলোতে ঈদ মার্কেট জমজমাট বেচাকেনা। ত্রিশাল পৌর শহরের হাজী হাতেম আলী মার্কেট, সানাউল্লাহ সুপার মার্কেট, আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান মার্কেট, আলতাফ সুপার মার্কেট, হুমায়ুন কবীর সিটি সেন্টার, ইসমাঈল প্লাজা, মেয়র মার্কেট, মীর প্লাজাতে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। তাছাড়া জামে মসজিদ রোড ও বঙ্গবন্ধু রোডের ফুটপাত গুলোতেও সমান তালে জমে উঠেছে বেচাকেনা। লক্ষ করা যায় প্রতিটি দোকানে একাধিক কর্মচারীসহ ক্রেতাদের পছন্দের কাপড় দেখাতে হিমসিম খাচ্ছে।
শপিং করতে আসা সাওদা জাহান, নওরিন ইসলাম, আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার শাড়ী কাপড়, রেডিমেট জামা, পাঞ্জাবির দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাছাড়া বিক্রেতা প্রচুর দাম চাচ্ছে। রোজা রেখে কষ্ট হলেও দামাদামি করে কিনতে হচ্ছে। ঈদে কাপড়ের দাম বেশি হলেও সবার আবদার মেটাতে হবে, নিজের জন্যও কিনতে হবে। আরেক কসমেটিকস ক্রেতা সৌরভী জাহান বলেন, কসমেটিকসহ এবার সব পণ্যেরই অনেক বেশি দাম। তবুও বাচ্চাদের খুশির জন্য ঈদ মার্কেট করতে হচ্ছে। দামটা নাগালের মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভাল হতো।
রিয়াজ বস্ত্রালয় ও রিয়াজ ফ্যাশানের মালিক আমিরুল ইসলাম বলেন, এবার সব কাপড় বেশি দামে কিনে এনেছি। তাই আগের তুলনায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান মার্কেট মালিক আতাউর রহমান শামীম বলেন, মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতা সহজে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেচা কিনাও ভাল হচ্ছে।
ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন বলেন, ঈদের মার্কেট ত্রেতা-বিক্রেতা নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই