ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লঞ্চ-স্পিড বোট সার্ভিস
উপন্যাসের তিতাস আজ ঢেউহীন নীরব নদী
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪, ২:৪০ এএম  (ভিজিট : ৬৪৪)
অদ্বৈত্য মল্ল বর্মণের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। একই শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন কিংবদন্তি নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক। উপন্যাস, চলচ্চিত্রের সেই তিতাস আজ ঢেউহীন নীরব নদী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তিনটি পৃথক জেলা সংযোগ সড়কের প্রভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শত বছরের পুরোনো পরিবহন ব্যবস্থা লঞ্চ ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম স্পিড বোট সার্ভিস।

মেঘনা, তিতাস, বুড়ি, পাগলা, ভাটা, জলেশ্বরী নদীবিধৌত নবীনগর উপজেলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল শত বছর ধরে চলা নৌকা ও লঞ্চ। তা ছাড়া পাশের জেলা নরসিংদী, বন্দর ও বাণিজ্যিক এলাকা ভৈরব ও আশুগঞ্জে চলাচলের মাধ্যম ছিল নৌকা ও ছোট আকারের দ্বিতল লঞ্চ। সময়ের পরিক্রমায় দ্রুত আসা-যাওয়ার জন্য ২০১০ সালে স্থানীয় বিল্লাল মিয়ার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায় স্পিড বোট সার্ভিস। লঞ্চ ও নৌকার চেয়ে চারগুণ বেশি ভাড়া হলেও সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ স্পিড বোটে যাতায়াত করতেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নবীনগরে আসা-যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে তিনটি পৃথক জেলা সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া ভারতের আসাম থেকে দেশের নামকরা আখাউড়া-কসবা বর্ডার হয়ে ঢাকাগামী রাস্তাটিও নবীনগরের বুক চিরে যাবে। পদ্মা সেতুর পর বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)-আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সেতু নির্মিত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভারতের ট্রানজিট রোডের রেললাইন ও সড়ক নবীনগরের ওপর দিয়ে যাওয়ায় নির্মিত হতে যাওয়া সেতু ও রাস্তার সুবিধা ভোগ করবেন নবীনগরবাসী।

লঞ্চ মালিক ইয়ার খান জানান, লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার পথে। যাত্রী তেমন নেই। এখন অনেক লঞ্চ রুট (নদীপথ) পরিবর্তন করে ফেলেছে। আস্তে আস্তে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। স্পিড বোট মালিক বিল্লাল মিয়া বলেন, রাস্তার কারণে যাত্রী কম। আগে প্রচুর যাত্রী হতো। এখন সবাই সিএনজি দিয়ে আসা-যাওয়া করে। 
নবীনগর সদরের লঞ্চঘাট ও স্পিড বোট ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ী আবুল বাশার বলেন, আগে এই পথে মানুষের আনাগোনা ছিল অনেক। যাত্রীদের কোলাহলে চাঙা থাকত। এখন প্রায় নীরব অবস্থা। যাত্রী কম, ব্যবসাও কম। এতে অনেক ব্যবসায়ী চিন্তিত।

সাবেক দুই সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ ও এবাদুল করিম বুলবুল এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল নবীনগরের সঙ্গে জেলা সদর ও ঢাকার যোগাযোগর ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের দাবি, সিএনজি অটোরিকশার বদলে জেলা সদরে যাত্রী পরিবহনের জন্য মিনিবাসের ব্যবস্থা করতে পারলে উপকৃত হবেন নবীনগরবাসী। সে ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন সাধারণ যাত্রীরা।

সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল বলেন, এসব রাস্তার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে জেলা সদরে মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে যেখানে এখন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। আর ঢাকায় যেতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। অথচ এখন ঢাকা যেতে চার থেকে আট ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকাও বাঁচবে বলে আমি আশা করি।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close