চরের বুকে গমের বাম্পার ফলন, আনন্দে ভাসছে কৃষক

প্রকাশ: রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১০:২১ পিএম (ভিজিট : ৭১০)

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তার চরাঞ্চলের চাষিরা চলতি মৌসুমে গম চাষ করে অত্যন্ত আনন্দিত। এবারে চরে প্রতিটি চাষ খুবই ভালো হওয়ায় পাল্টে গেছে চরের অতীত চিত্র। তিস্তা পাড়ের হাজারো কৃষক পরিবার অনেক খুশি।

দহগ্রাম ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বললে জানান অল্প খরচে মান সম্মত ফসল হচ্ছে এবারের ফসলের ক্ষেত দেখে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তিস্তায় জেগে ওঠা চরে গম চাষের সমারোহ, সম্পূর্ণ চর যেন সোনালি গমের শিষ। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই গম চাষ।

এক দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপকভাবে গমের চাষ হতো। এ অঞ্চলের জমিতে ভুট্টা চাষ ভালো হওয়ায় ভুট্টা চাষে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। ফলে দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছিল গমের চাষ।

এ বছরে পাটগ্রামে বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এদিকে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে গম চাষ হয়েছে। গমের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের। অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথা সময়ে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

গত বছর ৩৮ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৬০ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হলেও এ বছর তা বেড়ে ৫২ হেক্টর জমিতে ২৩৪ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হবে জানিয়েছে এ দপ্তর।

দহগ্রাম মহিমপাড়া ও সৈয়দপাড়া এলাকার গম চাষিরা বলেন, গত বছর গমের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে। এদিকে গম চাষে খরচ কম, গতবারের চেয়ে এবার ফলন বেশি হয়েছে। এ মৌসুমে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করেন কৃষকরা। তারা বলেন কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের গম চাষের জন্য বিনামূল্যে উন্নত জাতের গম বীজ ও সার দেওয়ায় আমরা গম চাষে আগ্রহী হই। আলহামদুলিল্লাহ গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফফার বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ফলন চলতি মৌসুমে অত্যন্ত ভাল হয়েছে। সঠিক সময়ে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে উন্নত জাতের গমের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।

সময়ের আলো/আরআই