গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সুকুমার বর্মন ওরফে ভোলা নামের এক বিজিবির সদস্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় স্ত্রী শেফালী রানীকে পিটিয়ে তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করাসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিনে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (হিন্দুপাড়া) গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চিত্র। এসময় সুকুমার বর্মনের কিশোরী মেয়ে স্মৃতিরানী জ্যোতি নিরাপত্তা হীনতায় আঙ্গিনায় বসে কাঁদছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রসুলপুর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের মৃত চন্দ্র কান্ত বর্মনের ছেলে সুকুমার বর্মন বিজিবিতে চাকরি নিয়ে স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে তার ভাই প্রাণবন্ধু বর্মন ও মাখন বর্মনসহ আরো অনেকে সুকুমার বর্মনের বসতভিটা দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
একপর্যায়ে স্থানীয় মাতব্বর সাবজান মিয়া দুলুর ইন্ধনে ও ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রামপুলিশের উপস্থিতিতে গত ২৮ মার্চ বিকেলে সুকুমার বর্মনের বাড়িতে লাঠি-ছোড়া নিয়ে হামলা করে প্রাণবন্ধু বর্মন ও মাখন বর্মনসহ তাদের লোকজন। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী শেফালী রানী ও মেয়ে স্মৃতিরানী জ্যোতিকে পিটিয়ে আহত করেছে। শুধু তায় নয়, সুকুমার বর্মনের ঘরে আগুন ধরে দেওয়াসহ ভাঙচুর কাণ্ড চালায় হামলাকারীরা। এদিকে গুরুতর আহত শেফালী রানীকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী শেফালী রানী বলেন, আমার ভাসুর গংরা আমাদের বসতভিটা দখলের জন্য দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা করে আসছেন। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়িতে ভাঙচুরসহ আগুন লেগে দিয়েছে তারা। এ ঘটনার আগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া আছে।
এ বিষয়ে প্রাণবন্ধু বর্মন ও মাখন বর্মন গংরা জানান, ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি আমরা উদ্ধার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি রিসিভ করেনি তিনি।
সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, সুকুমার বর্মনের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিযোগের খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সময়ের আলো/এএ/