ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে দর্জিদের
প্রকাশ: শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪, ৯:৪৩ এএম  (ভিজিট : ৪৮৬)
ঈদ মানে সাজগোছ আর আনন্দ। আর এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাই তো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারেও। এবারের ঈদুল ফিতর ঘিরেও এর ব্যতয় ঘটেনি। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো ডিজাইনের পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিপাড়ায়। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে কাপড় হাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগরদের।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, কালীগঞ্জ ও চুনকুটিয়া চৌরাস্তা, গার্লস স্কুল রোড এলাকার দর্জিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোশাকের ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেওয়া হচ্ছে মজুরি। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে সেলাইয়ের কাজ। কেউ মাপ নিচ্ছেন, কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ আবার সেলাই করছেন, কেউ বোতাম লাগিয়ে আয়রন করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছে দোকানে। আর এসব কাজ সময়মত বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি টেইলার্সে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন মালিকরা।

টেইলার্সের কাটিং মাস্টাররা বলছেন, কাজের অর্ডার এখন পর্যন্ত ভালো। আশা করছি দিন দিন অর্ডার আরও বাড়তে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহ করতে ২০ রমজানের আগেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করবেন তারা।

চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকার বিসমিল্লাহ লেডিস এন্ড জেন্টস টেইলার্সের মালিক মো. সিদ্দিকুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, গতবারের মতো এবারও আমাদের অর্ডার বেশি। ঈদের এই সময়টা আমদের অর্ডার বেশি আসে। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে খাওয়া ঘুমের সময় পাচ্ছিনা কাজের চাপে। ঈদের ২দিন আগেই জামা কাপড় ডেলিভারি করি।

অন্য একটি  টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ইদ্রিস বলেন, কাজের অর্ডার ভালোই আসছে। সারা বছরের কাজের চেয়ে ঈদের সময়ে কাজের চাপ বেশি থাকে। এই সময় টায় আমারা একটু বাড়তি ইনকাম করি। এই সময়টা আমাদের একটু চাপের মধ্যে দিয়ে যায়।

তবে অনেক টেইলার্সই ক্রেতা খরায় ভুগছে। তাদের কাজের ব্যস্ততা বছরের অন্য দিনের মতোই। তাদের অভিযোগ, আগের মত এই পেশায় মানুষ থাকতে চাই না। কারণ সব কিছুর দাম বাড়লে ও আমাদের কাজের মজুরি বাড়েনি। আর মানুষ রেডিমেড জামা কাপড় এখন কিনে বেশি পরে।

ক্রেতারা বলছেন কেনা পোশাকের চাইতে বানানো পোশাক ভালো হয় তাই দর্জির দোকানে আসেন অনেকে। কাপড় তৈরি করতে আসা হেলাল উদ্দিন জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পড়তে। তাই নিজের পছন্দমত কাপড় গজ আকারে কিনে পছন্দমত দর্জির দোকানে বানাতে দেই।

নতুন পোশাক অর্ডার দিতে আসা আয়েশা আক্তারসহ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আর কিছুদিন পর আমাদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। বাচ্চাদের নতুন পোশাকের অর্ডার দিতে বাজারে এসেছি। কিন্তু মজুরির যা দাম আমরা তাতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা যারা নিম্নআয়ের মানুষ তাদের জন্য খুবই সমস্যা। পোশাক ও মজুরির দাম বাড়লেও আমাদেরতো আর আয় বাড়েনি।

চয়েজ লেডিস এন্ড জেন্টস টেইলার্সের মালিক মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বর্তমানে কাস্টমার নতুন নতুন ডিজাইন বলে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি। বিভিন্ন ডিজাইনে জামা তৈরি করি আমরা। আমাদের টেইলার্সে প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সালোয়ার কামিজ ৩০০ টাকা, ব্লাউজ ১৫০ টাকা, ব্লাউজ (সুতি) ১২০ টাকা, পেটিকোট ২০০ টাকা, ম্যাক্সি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, গাউন ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, বোরকা ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close