প্রকাশ: বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪০ এএম (ভিজিট : ৬৬৮)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে টেস্ট রিলিফ (টিআর), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কাজ কাগজে কলমে শতভাগ দেখিয়ে লাখ লাখ হরিলুটে অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস ম্যানেজ করেই এমন কাজ করার অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্হানীয়সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া টিআর- কাবিখ ও কাবিটার কাজে রাস্তার মাটি দিয়ে পুনরায় ওই রাস্তার কাজ করে উন্নয়নের নামে সরকারী টাকা লুট করে নেয় প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরাসহ উপজেলা সংশ্লিষ্ট অফিস। অফিসে কর্তাদের ইশারায় সহকারীদের মাধ্যমে চলে এসব গোপন লেনদেন। ফরম, স্ট্যাম্প, মাস্টাররোল, অডিট আপত্তি, অফিসখরচ, সহকারীদের খরচ, ফিল্ড ভিজিটের তেল খরচ, ওপরের কর্তার খরচ, এই অফিস কর্তার খরচ গুনতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
এরপর কর্মকর্তারা শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার চাপ প্রয়োগ করেন। এখানেই শেষ নয়, অফিসে আসা বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হোক সে সরকার দলের না হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান; ওই আগতদের আচার আচরণ বুজে অফিস থেকে কাগজপত্র ছাড় দেন। তারা বুজেন যে লোক টাকা দিবেননা, তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করে দেন। এভাবে মাসের পর মাস হয়রানি ও ভোগান্তির ফাঁকে পেলেন।
অফিসেই একটি গোপন সিন্ডিকেট আছে। ফলে সরকারী টাকা উন্নয়ন না করে পকেট ভারী হচ্ছে অসাধু কর্মকর্তাদের। এভাবেই চলছে কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ বিভিন্নরকম প্রকল্পে সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ বরাট কে আলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক, চরকাদিরা ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়ক ও উপজেলা সংলগ্ন নাকশিয়ারখালপাড় সংস্কার না করে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।এভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রকল্পগুলোর চিত্র একই রকম দেখা গেছে।
কোথাও ১০ শতাংশ কোথাও ২০ শতাংশ, কোথাও মোটেও কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রকল্পের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পের কাজে তদারকির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও এই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা গেছে এমন বাস্তব চিত্রও।
স্থানীয় শাহজান পাটারী বাড়ির লোকজন বলেন, সামান্য কিছু কাজ করই শেষ প্রকল্পের কাজ। কর্মকর্তারাসহ সরকারী টাকা আত্মসাৎ করা ছাড়া কিছুই না।
কমলনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি। আমরা আবারও মনিটরিং করবো; কাজ না করে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নাই।
সময়ের আলো/এএ/