লক্ষ্মীপুরের কমলনগরেচর মার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক মুন্সির বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
ছবিতে দেখা যায়, উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মেম্বার ওমর ফারুক মুন্সির (৪০) ইয়াবা সেবন করছেন। তিনি খালি শরীরে, শর্ট প্যান্ট পরে টেবিল সামনে রেখে চেয়ারে বসে মাদক সেবন করছে। তার সামনে থাকা টেবিলে লাল রংয়ের গ্যাস লাইট, সিগারেট, ফুয়েল পেপার, সিগারেটের সুখা ধারণের পাত্র, একটা বোতলের কিছু (লাল) কাকের ছবি দেখা যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ইয়াবা সেবনের ছবি নিয়ে বেশ নেতিবাচক সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, মেম্বার ফারুক মুন্সি সবসময় বিভিন্ন রকম মাদক সেবন করে থাকে। তার বিরুদ্ধে এরকম একাধিক তথ্য রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই বিব্রত বোধ করছে। জনপ্রতিনিধি যদি মাদক সেবন করে তাহলে সাধারণ জনগণ কিভাবে সুশাসন রক্ষা করবে এমন মন্তব্য করেন।
ইয়াবা সেবনের ছবি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওমর ফারুক মুন্সি জানান, এটা তারই ছবি। তবে তার বাসায় কিছু বন্ধু হঠাৎ একদিন ইয়াবা সেবনের জন্য আসেন। তখন জোর করে তাকে ইয়াবা সেবন করান বলে দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র শুরু করছে। তাকে সামাজিকভাবে হেও করতে এমন ছবি দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। মেম্বার হওয়ার পরে তিনি ভালো হয়ে গেছেন।
ওমর ফারুকের স্ত্রী কাকন আক্তার জানান, তার সাথে আমার এখন কোন সম্পর্ক নেই। আমি গত ২৫ তারিখ থেকে তার থেকে আলাদা আছি। তার বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তার উপর আমি বিরক্ত, তার এ সকল অন্যায়ের জন্য আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। তার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ করেন।
তার এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তার স্ত্রী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তার দুইজন ছেলে সন্তান রয়েছে।
উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া জানান, কারোর ব্যক্তিগত অপরাধের দায় তিনি নিজে নিবেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ইউপি সদস্যের মাদক সেবনের ছবি তিনি এখনো দেখেননি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, মেম্বারের কাছে যদি মাদক পাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময়ের আলো/আরআই