ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি-বিস্ফোরণের বিকট শব্দ, এপারে আতঙ্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪, ১:১১ এএম  (ভিজিট : ৩৭২)
তিন দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেশটি থেকে ভেসে আসা বিকট শব্দে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি বাসিন্দারা।

টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবেশী দেশটির মংডু টাউনশিপের উত্তরের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে রবিবার রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে শতাধিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। মর্টার শেল, গ্রেনেড ও বোমার পাশাপাশি যুদ্ধবিমান উড়ে যাওয়ার শব্দও পায় তারা।

স্থানীয়রা বলছে, এর আগে রবিবার রাত আনুমানিক ৯টা থেকে এর আগের তিন দিন সীমান্তের ওপার থেকে এমন শব্দ শোনা যায়নি।

তাদের ধারণা, মংডু টাউনশিপের উত্তরে কাওয়ারবিল, নাকপুরা, বলিবাজার, পেরাংপুরুসসহ কয়েকটি গ্রামে গতকাল রাতে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে।

হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, রবিবার রাত থেকে নাফ নদের ওপার থেকে ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। মনে হচ্ছে মাটি খুঁড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্য দিনের তুলনায় আজ ভারী বিকট শব্দ।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘তিন দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ রবিবার রাত ১০টা থেকে ওপারে মর্টার শেল ও গ্রেনেডের বিস্ফোরণ শুনতে পাওয়া গেছে। তাতে এপারের হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইনপল্লী চৌধুরীপাড়া, ফুলের ডেইল, পুরানবাজার, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার,হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী, নয়াবাজার, মিনাবাজার, কাঞ্জরপাড়া, ঝিমংখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিলসহ অন্তত ১৩টি গ্রামে এমন বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। রাত তিনটা পর্যন্ত এমন শতাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় এপারের লোকজন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।সোমবার পর্যন্ত নতুন করে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।

দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এসব এলাকায় দুই পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা ও পাল্টাহামলা করে যাচ্ছে। তীব্র সংঘাতের মধ্যে টিকতে না পারে সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close