প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ১১:০৬ পিএম (ভিজিট : ৪০৪)
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এতে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সাতকানিয়া লোহাগাড়া এলাকায় শত শত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ঘর ছাড়া।
গত ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন এম এ মোতালেব। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবের লোকজন জামায়াতকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সম্ভাবনা না থাকায় দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা বর্ণচোরা চক্রটি জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছে। গত সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ক্যাডারদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছিল স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। বিনিময়ে তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতকে জেতানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত ভাল করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১৫ সংসদীয় আসন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকা আবারও জামায়াত-শিবিরের দখলে চলে গেছে। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় নৌকা নেই, মানে আওয়ামী লীগ নেই। স্বতন্ত্র এমপি থাকলেও আমার মনে হয় জামায়াত ইসলামি সেখানে কাজ করছে। কারণ জামায়াতের এমন কোনো ক্যাডার বাকি নেই যারা মাঠে নেই। লোহাগাড়ার সব জামায়াতের ক্যাডার এখন মাঠে। তারা সেখানে এখন ওয়াজে প্রথমে আমাকে গালাগালি করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও ভারতকে গালাগাল দেয়। তাদের বক্তৃতা শুনে মনে হয় দেশটা ইসলামিক স্টেট হয়ে যাবে এবং সেটার সূচনা হবে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে। এভাবে জামায়াত কাজগুলো করছে। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত এমপি জামায়াতের এমপি কিনা সেটা আমি জানি না, এটা বুঝা যাচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতারা বাড়িতে যেতে পারছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমার স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর ওপর হামলা করা হয়। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়া। তারা বাড়িতে যেতে পারেন না। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরআই