প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৯:০১ পিএম (ভিজিট : ৮৯৪)
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ডিবি পরিচয়ে মো. আলমগীর হোসেন (৪০) নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এরই প্রেক্ষিতে এএসআই আমিনুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক ভাবে সাসপেন্ড করেছে জেলা পুলিশ সুপার।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রামগতি উপজেলা চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সে ওই এলাকার কালামিয়ার সর্দারের ছেলে। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী আলমগীরের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে আমরা ঘরে সকলে খাওয়া দাওয়া করছিলাম। এসময় আমার স্বামীর নাম ধরে ডাক দেয় অপরিচিত ৪/৫ জন লোক। তিনি ঘর থেকে বাহির হলে হঠাৎ কয়েকজন লোক জোরপূর্বক অটোরিকশা যোগে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এর ২/৩ ঘণ্টার পর আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় আমার স্বামীর মোবাইল ফোনে কল দিলে অপর দিক থেকে অপরিচিত কণ্ঠে ফোন রিসিভ করে আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এসময় তার দাবীকৃত টাকা নিয়ে কমলগনর ফজুমিয়ারহাট-লরেন্স সড়কের পাশে যাওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দেন। নিরুপায় হয়ে আমার স্বামীকে আনার জন্য তার দাবীকৃত টাকা নিয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এসময় উপস্থিত লোকদের পরিচয় জানতে চাইলে আমাদের সাথে পুলিশের সোর্সদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উপস্থিত লোকদের মধ্যে একজন বলেন আমি কমলনগর থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম (যার বিপি নং- ৮৩০২০৯৭৫৮৭) বলে জানান ওই ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার সোর্সের মাধ্যমে রামগতির চরসীতা গ্রামের আলমগীর হোসেনের কাছে ১০০ গ্রাম গাঁজা থাকার সংবাদের ভিত্তিতে তাকে তুলে নিয়ে আসি। তার আত্মীয়-স্বজন এসে আমার কাছে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, থানাকে ইনফরমেশন না করে ও সিভিল পোশাকে গিয়ে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবককে তুলে আনার অপরাধে জেলা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক ভাবে আমিনুল ইসলামকে সাসপেন্ড করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
সময়ের আলো/আরআই