প্রকাশ: বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪, ১০:০৬ পিএম (ভিজিট : ৬৯৪)
শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদরাসার দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির ২৮ ফেব্রুয়ারির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৯ মার্চ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র দণ্ডপ্রাপ্তরা গ্রহণ করেছেন বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে এসে বিধি মোতাবেক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিরোধিতা করে অধ্যক্ষের সাথে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মো. আবুল হাশেম ও প্রভাষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) মো. মাসুদুর রহমান প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা প্রতিবাদী দুই শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়া সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উচ্চতর বেতনের আবেদন করার বিষয় প্রমাণিত হয়। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে দু’দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। একই সাথে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন দ্বিতীয় দফায় পাঠানো শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি নোটিশের কোনো জবাব দেননি। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির গত ২৮ ফেব্রুয়ারির সভায় ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে জানান শিক্ষক ও স্থানীয়রা। অন্যায়ের পর ম্যানেজ করে পার পাওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে।
চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জান্নাত আলীর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।