প্রকাশ: সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ৩:৫০ পিএম (ভিজিট : ৩৯৮)
মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায়। মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়াসহ অন্তত ১৩টি গ্রামে। এর ফলে সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিস্ফোরণ শব্দে ভয়ে চিৎকার করে উঠে শিশুরা।
রোববার (১৭ মার্চ) রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে পরবর্তী ৩০ মিনিটে মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় সীমান্তের বাসিন্দারা। রাখাইন রাজ্যের মংডুর কিছুটা উত্তরে নাকপুরা এলাকায় এসব বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১ টা পর্যন্ত আর কোন বিস্ফোরণের শব্দের তথ্য পাওয়া যায়নি।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি স্থলপথে নাকপুরা এলাকার বিজিপি সেক্টর ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এরপর বিজিপি সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। তখন রাত ৯টা ২৫ মিনিট থেকে আধঘণ্টা মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
টেকনাফের জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, রাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনা যায়। বিস্ফোরণের শব্দে পরিবারের কেউ ঠিক মতো ঘুমাতে পারেনি। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আতংকিত হয়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে আমার ৪ বছরের শিশু চিৎকার করে উঠে। মনে হচ্ছে মিয়ানমারের ওপারে আবারও বড় কোন সংঘাত সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ছয় দিন মংডুর আশপাশের গ্রামগুলোতে দিনের বেলায় গোলাগুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাতের বেলায় কয়েকটি গ্রামে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিন্তু রোববার রাতে হঠাৎ একসঙ্গে ২১টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ সীমান্তের লোকজনের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রাতে মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রাখাইনের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।
সময়ের আলো/এম