ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে টিকা সংকটের কারণে জনস্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা হুমকির মুখে পড়েছে। শিশু জন্মের পর থেকে দুই বছরের মধ্যে এবং গর্ভবতী নারীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের টিকা দিয়ে আসছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যাণ সহকারীদের মাধ্যমে গর্ভনিরোধক টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় টিকা সংকটের কারণে সেবাগ্রহীতারা বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ফলে শিশু স্বাস্থ্য ও গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া গর্ভনিরোধের জন্য টিকা নিতে না পারায় অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের টিকা বাইরের কোনো ফার্মেসিতে না থাকায় অর্থ ব্যয় করে কেনার সামর্থ্য যাদের রয়েছে, তারাও পারছেন না। অন্যদিকে গর্ভনিরোধক টিকা ডিএমপিএ ফার্মেসিতে বিক্রি হলেও উচ্চমূল্যে কিনতে হচ্ছে।
টিকার সংকট সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজহারুল ইসলাম খান বলেন, মাঠে যাওয়ার পর সেবাগ্রহীতারা ভিড় করছেন। কিন্তু তাদের টিকা দেওয়া যাচ্ছে না এমনকি কোন দিন থেকে এসব টিকা পাওয়া যাবে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। গর্ভনিরোধক টিকার সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে। গ্রাহকদের বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য মোটিভেশন দেওয়া হচ্ছে এবং বিকল্প পদ্ধতিগুলোর সরবরাহ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চাহিদা অনুযায়ী টিকা না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লোপা চৌধুরী বলেন, বেশ কিছু টিকা প্রাপ্তিতে সমস্যা হচ্ছে। যেটুকু বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে তা প্রতিটি ইউনিয়নে সমহারে বণ্টন করে দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্যা সারা দেশেই বিদ্যমান বলেও জানান এই নারী চিকিৎসক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্যান্টাভ্যালেন্ট, বিসিজি, পিসিভি, আইপিভি, ওপিভি, এমআর এবং টিটি মিলিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার ৪৭০ পিস টিকার চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ১ হাজার ৭০০ ডিএমপিএ টিকার চাহিদা রয়েছে যার সরবরাহ ৩ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে।
সময়ের আলো/আরএস/