বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের চুড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ মেম্বার ছাবের আহমেদ আশংকা মুক্ত হলেও ভয় নিয়ে ৬ দিন পর ফিরছে বাড়িতে।
গত ১১ মার্চ সদর ইউনিয়নের জাংছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে মিয়ানমারের ২৯ জান্তা বাহিনী বর্ডার গার্ড (পুলিশ) সদস্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে।
তাদের বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদরে আনার প্রস্তুতি কালে জাংছড়ি এলাকায় সীমান্তের ঐ পাড় থেকে ৪৬-৪৭ নং পিলার দিয়ে ব্যাপক গুলা গুলির এক পর্যায়ে মিয়ানমারের চুড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার ছাবের আহমেদ। তাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে তাকে তাৎক্ষনিক রেফার করেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।
১২ মার্চ অপারেশন করে তার কুমর থেকে বের করা হয় গুলির খোশা। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে ৬দিন পর ১৬ মার্চ বাড়িতে ফিরেন তিনি।
গুলি বৃদ্ধ ছাবের আহমেদ মেম্বার সময়ের আলোকে জানান, সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। তার দাবি, সে সব সময় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর পক্ষে দেশের জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু অপর রাষ্ট্রীয় গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েও তার খুজ নেননি সংশ্লিষ্ট কেউ। সচেতন মহলের মতে, একজন জনপ্রতিনিধি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউ যদি তার খোঁজ খবর না নেই তাহলে সীমান্তে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হবে?
এদিকে জনপ্রতিনিধি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে জাংছড়িসহ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের দিন কাটচ্ছে গুলি আতংকে। রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়।