ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যটন স্পট শৈল চূড়া পাহাড় যেমন মেঘের রাজ্য
প্রকাশ: শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪, ৯:৪৯ এএম  (ভিজিট : ৭৪২)
পাহাড়ি কন্যা খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির হাজার ফুট উঁচু শৈল চুড়া দূরবীন পাহাড় যেন মেঘের রাজ্য।

অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টি নন্দন এই স্পষ্টটির অবস্থান বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। দেশের অন্যতম উঁচু এই পাহাড় থেকে দেখা মিলে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কক্সবাজার। আর কক্সবাজার থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও পূর্বে অবস্থিত হওয়ায়, পর্যটকরাও আসেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

এ গ্রামে বসবাস অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যার মধ্যে রয়েছে মারমা, চাক, তংচঙ্গা, চাকমা, হিন্দু, বড়ুয়া, বাঙালিসহ অনেকেই। তাদের বসবাস পাহাড়ের চুড়ায় বা পাহাড়ের ঢালুতে। তাদের প্রধান পেশা কৃষি। যেমন- পেঁপে বাগান, কলা বাগান, পাহাড়ে জুম চাষ ও ফসলি কৃষি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এই পাহাড়টি অনেকের কাছে শৈল চুড়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ও পরিচিত। এই পাহাড়টি অধিক উঁচু হওয়ায় এখানে যেতে হয়, চাঁদের গাড়ি, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে।

অপর দিকে যার প্রবেশ পথে দেখা মিলে পাহাড়িদের নানান  জীবনযাত্রা। আর সু বিশাল উঁচু পাহাড়ে সবুজের আড়ালে বাহারি বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চুখে পড়ার মতো। যাহা দেখে গত ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি গড়ে তুলে পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বসবাসকারীদের মানোন্নয়নে পানিও জলের সুবিধা। আর এই পাহাড়ি গ্রামটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয়, রাজশাহী থেকে আসা দম্পতি মো: জহির  হ্যাপি, চট্টগ্রামে কবির চৌধুরীসহ অনেকে এই প্রতিবেদক কে জানান। তারা কক্সবাজার ট্যুরিজম থেকে শুনে হাজার ফুট উঁচু পাহাড় দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছেন, কিন্তু উপরে উঠে ভয়ের চেয়ে আনন্দই পেয়েছেন বেশি। কারণ এই উঁচু পাহাড়ি গ্রাম থেকে মেঘের মিতালির সাধ পেয়েছি যা নিজ চুখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।

পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য রয়েছে জেলা পরিষদের সরকারি রেস্ট হাউজ, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটকের ভাল মন্দ দেখাশুনা নিজেই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া।

এ-বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানু ওয়ান চাক বলেন, নাই্ক্ষ্যংছড়ির প্রতিটি গ্রাম ও পাহাড় গুলো একেকটি দর্শনীয় স্থান, এগুলোকে পর্যটনের রূপ দিয়েছে বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। তিনি এটিও সরকারের সাফল্য বলে জানান।

শৈলচুড়া রেস্তোরেন্টে পরিচালক এডভোকেট আলী আহামেদ জানান, এটি একটি দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট। যে কানে সন্ধ্যা হলেই পাহাড়ের চুড়ায় মেঘের মিতালি দেখতে পর্যটকের বিড় নামে। তবে বিদ্যুৎ না তাকায় অনেক সময় ভ্রমণ পিপাসীদের বিব্রতকর অবস্থা বোধ করতে দেখা যায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাময় শিল্প। চলমান পর্যটন স্পটের পাশাপাশি নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র আবিষ্কারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি রয়েছে। পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close