ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সুন্দরবনে অবমুক্ত
প্রকাশ: শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪, ৬:১৮ এএম  (ভিজিট : ৪৪৪)
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের নোনা পানির কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের ভেতরে নদীতে দুটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। কুমির বিশেষজ্ঞ শ্রীলঙ্কার ড. রু-সোমাওয়ারি ও অস্ট্রেলিয়ার ড. পাউল গত বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির ‘জুলিয়েট’ এবং যশোর মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা কুমির ‘মধু’র শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস বসিয়ে দেন। 

পরে গহিন সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় বন বিভাগ ও আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এ কাজে সহযোগিতা করে।

মোংলা বন্দর সংলগ্ন সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর শুক্রবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, কুমির দুটির পিঠে এ স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর মাধ্যমে উন্মুক্ত কুমিরের গতিবিধি, চলাচল ও এর আগে যেসব কুমির নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে তাদের আচরণ, লবণ পানিতে টিকে থাকা ও কুমিরের ডিম দেওয়া ছাড়াও তাদের বাচ্চা থেকে বংশবৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য (সারভাইভাল রেট) জানা যাবে। এ দুটি কুমিরের পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে আরও তিনটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস বসিয়ে বনের নদীতে অবমুক্ত করার কথা রয়েছে বলে জানান আজাদ কবির। স্যাটেলাইটের সময়সীমা আগামী দেড় বছর থাকবে।

এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সুন্দরবনে উন্মুক্ত করা নোনা পানির কুমিরের আচরণ, গতিবিধি, চলাচল ও লবণ পানিতে তাদের বংশবৃদ্ধির কৌশল ও অস্তিত্ব টিকে থাকার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে এ স্যাটেলাইট ডিভাইসের মাধ্যমে। 

প্রতি আধাঘন্টা পরপর এর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। তা থেকে নির্ধারণ করা হবে সুন্দরবনের মধ্যে বসবাস করা নোনা পানির কুমিরের তথ্য। আজাদ কবির আরও জানান, কুমিরের পিঠে অস্ত্রোপচার করে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার প্রথমে কিছুটা অস্বস্থিকর হলেও কিছু দিন যাওয়ার পর তা ঠিক হয়ে যাবে। স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানোর কিছুক্ষণ পর কুমির দুটি নিজ ইচ্ছায় নদীতে নেমে যায়।

শুরু থেকে এ কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান এবং করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীরসহ বন বিভাগের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close