ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সিগারেটে কার্যকর করারোপে বাড়তি কর আসবে দশ হাজার কোটি টাকা
প্রকাশ: সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪, ১:৫২ এএম  (ভিজিট : ৫৮৮)
সিগারেট ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো-কার্যকর করারোপের মাধ্যমে এই ক্ষতিকারক পণ্যের খুচরা মূল্য বাড়িয়ে এগুলোর সহজলভ্যতা কমানো। সিগারেটে কার্যকর করারোপ করা গেলে বাড়তি কর আদায় আসবে ১০ হাজার কোটি টাকা। গতকাল রোববার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

এ সময় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর অল্প করে সিগারেটের দাম বাড়লেও সে তুলনায় মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বেশি হওয়ায় সিগারেট সহজলভ্যই থেকে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে এগুলোর ওপর কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা সামনে এনেছেন বিভিন্ন তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি গবেষকরা। এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে সিগারেট ব্যবহারের হার ১৫.১ শতাংশ থেকে কমে ১৩.৮ শতাংশে নেমে আসবে। পাশাপাশি সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণও আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি হবে (প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা বাড়তি কর)। 

উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। সম্পূরক আলোচনা করেন তামাকবিরোধী অর্থনীতিবিদদের মঞ্চ ‘বাংলাদেশ ইকোনমিস্টস ফর ইফেক্টিভ টোব্যাকো ট্যাক্সেশনের (বিইইটিসি)’ পাঁচজন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন-ড. রুমানা হক (অধ্যাপক, অর্থনীতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), গোলাম আহমেদ ফারুকী (ডিন, ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনা অনুষদ, ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়), হোমায়রা আহমেদ (গবেষণা সহযোগি, বিআইডিএস) এবং ড. নাজমুল ইসলাম (সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি, বুয়েট)। সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা উত্থাপনের পর এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আলোচকরা। ড. আতিউর রহমান বলেন, নিম্ন স্তরের সিগারেট তুলনামূলক সহজলভ্য হওয়ায় নিম্ন আয়-শ্রেণির মানুষ এবং কিশোর-তরুণরাই এগুলো প্রধানত ব্যবহার করে থাকে। তাই আসন্ন অর্থবছরে এই স্তরের সিগারেটের দাম শতাংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি (৩৩ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই সঙ্গে এই স্তরের সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি মধ্যম, উচ্চ, এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ১৯, ১৫, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব স্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক হার আগের মতো ৬৫ শতাংশ রাখলেও খুচরা মূল্য বাড়ালে এগুলো বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়বে।

সময়ের আলো/আরএস/









https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close