ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এক্সরে মেশিন
প্রকাশ: শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪, ১:৪০ এএম  (ভিজিট : ৬০৮)
টেকনিশিয়ান সংকটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন। দন্ত বিশেষজ্ঞ না থাকায় বন্ধ রয়েছে দাঁতের চিকিৎসা। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবা। এতে উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে ভোগান্তিতে আছেন। বিশেষ করে ভোগান্তিতে আছেন উপজেলায় হাওর পারের দিন মজুর মৎস্যজীবী ও চা বাগানের শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। অথচ এখানকার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। 

সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে নির্ধারিত জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে আছেন মাত্র ৫ জন। আবার নিয়োগ পাওয়া ৫ জনের মধ্যে ২ জন অন্যত্র ডেপুটেশনে রয়েছেন। মেডিকেল অফিসারের পদ আছে ২৭টি। তার মধ্যে আছেন ১১ জন। আর ৩০ জন নার্সের মধ্যে আছেন ২৬ জন। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট ৬৫ জনের মধ্যে আছেন ৩১ জন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৫ জনের মধ্যে আছেন ৩ জন। এই ৩ জনের ১ জন অন্যত্র ডেপুটেশনে আছেন। 

প্রতিদিন হাসপাতালটির আউটডোরে গড়ে সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০ জন। ভর্তি রোগী থাকেন ৪৫-৫০ জন। জরুরি বিভাগে সেবা নেন অন্তত ২০০ জন। সবমিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন রোগী এখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। এসব রোগীর অনেকের এক্সরে করানো জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের এক্সরে মেশিন দীর্ঘদিন নষ্ট থাকায় রোগীরা আর কোনো উপায় না পেয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে সদরে কিংবা প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এক্সরে করান। এতে কুলাউড়া উপজেলার মানুষের অর্থ ও সময় উভয় বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, সরকারিভাবে এক্সরে সেবা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় এক্সরে করাতে হয়। এতে প্রতিটা এক্সরে করাতে গুনতে হয় অন্তত ৪০০-৫০০ টাকা। তারা হাসপাতালে দ্রুত এক্সরে সেবা চালুর দাবি জানান। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকে দেখছি এক্সরে মেশিনটি বন্ধ। টেকনেশিয়ান না থাকায় এই সেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে। সীমিত জনবল নিয়ে কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close