প্রকাশ: রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ৫:৪৮ পিএম (ভিজিট : ৩৫৮)
কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে রাতে ভারী ভারী মর্টার শেলের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা। রোববার (৩ মার্চ) রাতে ও সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হারাংঙ্গা ঘুনা, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া থেকে শোনা যায় মিয়ানমারের গুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ। থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি।
হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্ত বাসিন্দা ঈমান আবু হানিফা (রাঃ) মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক, মাষ্টার কামাল হোসাইন সময়ের আলোকে জানান, ফজরের নামাজের আগে বিকট শব্দ শুনতে পাই, আমি প্রথমে মনে করছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে হঠাৎ আরেকটি বিকট শব্দ ভয়ে বাড়ি থেকে আর বাহির হই নাই।
হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে মর্টারশেলের ভারী শব্দে আতঙ্কে আছে লোকজন। আমার বাড়ির পেছনে একদম কাছে মিয়ানমার সীমান্ত। কখন মর্টার শেল ছুটে এসে পড়ে তার কোনো বিশ্বাস নেই। দিন-রাত ভয়ে থাকি। পরিস্থিতি কখন শান্ত হবে আল্লাহ যানে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তাফা লালু সময়ের আলোকে জানান, আমাদের পেছনে প্রায় ১৫০/২০০ মিটার পর্যন্ত হবে মিয়ানমার সীমান্ত। ছাদে উঠলে দেখা যায় মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা। গত রাত থেকে আজ (রোববার) দুপুর পর্যন্ত মর্টার শেলের বিকট শব্দ হয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী সময়ের আলোকে জানান, আমার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার। সীমান্তের কাছে যারা বসবাস করছে তারা আতঙ্কে রয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি ও ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যায়। কেননা মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে।
এদিকে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া না গেলেও এখনো দ্বীপের জেটিঘাটে মানুষের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার দোকানদাররা।
কয়েকদিন ধরে এই সীমান্তে কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নাফ নদে কোস্টগার্ড এবং সীমান্তে বিজিবি টহল রয়েছে। কিন্তু জেটিঘাট বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসার ব্যাপক লোকসান হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরআই