ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রাচুর্যে ভরা বইমেলায় প্রাণের ঘাটতি
প্রকাশ: রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪, ২:১৯ এএম  (ভিজিট : ৬৫২)
বাংলা একাডেমির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই শুধু নয়; একুশের এই বইমেলা এ বছর দেশের বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হয়েছে। জেলা-উপজেলার বইমেলাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ কাজ করলেও অর্থায়নসহ পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। 

বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রতি বছর একাডেমির একক নেতৃত্বেই হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বইমেলা হিসেবে বিবেচিত বাংলা একাডেমির বইমেলা নিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক শেষ হয়ে গেল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমির আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই শুধু নয়; একুশের এই বইমেলা এ বছর দেশের বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হয়েছে। জেলা-উপজেলার বইমেলাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ কাজ করলেও অর্থায়নসহ পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রতি বছর একাডেমির একক নেতৃত্বেই হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বইমেলা হিসেবে বিবেচিত বাংলা একাডেমির বইমেলা নিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক।

বইমেলায় প্রাচর্য ছিল, প্রাণ ছিল না-এ বিষয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে। দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে ভিন্নমত সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। প্রতি বছরই কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখক-পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ না হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকে না। আলোচনার কেন্দ্রে থাকে মূলধারার লেখক ও তাদের লেখা বই। অতি অপ্রত্যাশিতভাবে এবার কিছু অলেখক, যারা অন্য কোনো ইস্যুতে আলোচিত-সমালোচিত ও ভাইরাল হয়ে সেটিকে বইমেলা পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে শুধু সারা দেশ নয়, সারা বিশে^র মানুষ তাদের এ ধরনের আপত্তিকর কার্যক্রম দেখেছে। বিশ্বাস করা যায়, মূলধারার পাঠক ও লেখক কেউ বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি। অসহ্য হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। যারা চুপ থেকেছেন তারাও যে বিষয়টি পছন্দ করেছেন-এমনটি বলা যাবে না। নাট্যজন মামুনুর রশীদ ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ পরিভাষাটি ব্যবহার করার পর থেকে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবার বাংলা একাডেমির বইমেলাটিও যে রুচির দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে তা হয়তো কেউ ভাবতেই পারেনি। 

আমার মনে হয়, বইমেলায় মোশতাক-তিশা, ডা. সাবরিনা ও হিরো আলমের কাণ্ডকারখানা দেখে অনেক রুচিশীল মানুষ ও ঋদ্ধ লেখক-পাঠক লজ্জাবোধ করেছেন। স্বীকার করছি, লেখক হিসেবে তারা তাদের বইয়ের কথা বলতে বইমেলাতে আসতেই পারেন। আপত্তি সেখানে নয়। কিন্তু তারা যে কাজটি করেছেন তাতে তাদের লেখকসত্তা চাপা পড়ে গেছে। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, ব্যক্তিজীবনের কিছু অসঙ্গতি ও আপত্তিকর বিষয় সামনে নিয়ে এসে ভাইরাল বা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা বইমেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সামাজিকভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ একটি বিয়েকে পুঁজি করে মোশতাক-তিশা ভাইরাল হয়েছে। আসামি হিসেবে জেলখানায় গিয়ে যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে গণামাধমে প্রকাশ করে ডা. সাবরিনা ভাইরাল হয়েছে। সাবরিনার বিষয়গুলো কতটা সত্য তা নিয়ে সন্দেহ করেন অনেকেই। আর হিরো আলম ইউটিউবার। বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি তার পরিচিতি বাড়িয়েছেন। তার লেখকসত্তা নিয়েই রসিকতা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন মহলে। এসব ঘটনা বইমেলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

যাপিত জীবনের দুর্বল বিষয়গুলো পুঁজি করার কারণে এরা কেউ বইমেলায় গ্রহণযোগ্যতা পাননি। ক্রেতা-দর্শনার্থী ও তরুণ প্রজন্মের পাঠকরা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। অপমানিত হয়ে তারা বইমেলা থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলা একাডেমির বইমেলায় এর আগে কখনো এ ধরনের অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। বর্তমানে বইমেলার পরিধি বেড়েছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে। বইমেলাকে ঘিরে এখন প্রচুর বই প্রকাশ হচ্ছে। স্টলগুলোও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসজ্জিত। প্যাভিলিয়নগুলোর বাহারি ডিজাইন দেখে যেকোনো ক্রেতা-দর্শনার্থীর চোখ আটকে যাবেই। এসবই বইমেলার বাহ্যিক প্রাচুর্য। তবে আমরা যে বলি বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা, বইমেলাকে ঘিরে সেই প্রাণ-প্রাচুর্য কতটা ছিল সেটিও এখন একটি মোক্ষম প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ-প্রাচুর্যের চেয়ে প্রদর্শনবাদী চেতনা এখন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের গ্রাস করেছে। নিজেকে দেখানো নিয়ে এখন সবাই ব্যস্ত। অন্যকে দেখার সময় নেই এখন কারও হাতে। মানবসমাজে এখন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী মতবাদ হচ্ছে প্রদর্শনবাদ। বইমেলার মতো মনোজাগতিক ক্ষেত্রটিও এর বাইরে নয়। বই কেনার চেয়ে বই হাতে নিয়ে ছবি তুলে সে ছবি যোগাযোগমাধ্যমে প্রদর্শন করার দিকেই মনোযোগী ছিলেন অনেকে। এতে বইয়ের ভার্চুয়াল প্রদর্শন হয়েছে। প্রচারও পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রদর্শিত বইগুলো। কিন্তু লেখক-পাঠক ও প্রকাশকের মধ্যে প্রাণের স্পর্শ লাগেনি।

এত গেল বাংলা একাডেমির বইমেলার বিষয়। আর সারা দেশের জেলা-উপজেলাগুলোর বইমেলা বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমেই যে কথাটি বলতে হয় তা হলো-এসব বইমেলায় একদিকে প্রশাসনের দায়সারা ভাব অন্যদিকে স্থানীয় শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় সাহিত্য-সংস্কৃতিসেবীদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব হলে বইমেলায় বুদ্ধিবৃত্তিক ঘাটতি দেখা দেয়। বুদ্ধিবৃত্তিক এ ঘাটতির কারণে বইমেলা অন্যান্য পণ্যের মেলার মতোই হয়ে ওঠে। প্রতিটি বইমেলা ঘিরেই একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ থাকে। এই মঞ্চটির পূর্ণতা পায় তখনই যখন সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ এর সঙ্গে যুক্ত হন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বইমেলার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। এদের সর্বাধিক উপস্থিতির ফলে বইমেলা প্রাচুর্যে ভরে উঠলেও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে না। প্রশাসক ও রাজনীতিকরা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। কিন্তু বইমেলায় কাক্সিক্ষত ব্যক্তি হলেন একজন সাহিত্যসেবী। হতে পারেন তিনি স্থানীয়ভাবে অখ্যাত, অপরিচিতি। কিন্তু আয়োজক কমিটির দায়িত্ব হলো তাকেই খুঁজে বের করা। সাহিত্য নিয়ে তার সুখ-দুঃখ, আশা-প্রত্যাশার কথা জানতে চায় পাঠক। বইমেলা শুধু বইকে জানা নয়, বইয়ের লেখককেও জানা। তাই একজন লেখককে যথাযোগ্য মর্যাদায় উপস্থাপন করা বইমেলার একটি প্রধান দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনের দিকে আয়োজকদের মনোযোগ ছিল বলে মনে হয়নি। ফলে বইমেলার মঞ্চগুলো সাহিত্যমঞ্চ হয়ে ওঠেনি। সাহিত্য আলোচনার চেয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিই আয়োজক কমিটির মনোযোগ ছিল। মেলায় লোকসমাগম ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। ফলে বইমেলার মঞ্চটি একটি নাচ-গানের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। 

স্থানীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বেশিরভাগ বইমেলায় দেখা গেছে নাচ-গান শেষ হয়ে গেলে বইমেলা চত্বর খালি হয়ে গেছে। সারি সারি বইয়ের দোকান তখন খালি পড়ে থাকে। বইমেলার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠক তৈরি করা। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে সে উদ্দেশ্যটি একেবারে গৌণ হয়ে পড়ে। অতিমাত্রায় প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে স্থানীয় পর্যায়ের লেখক ও সুধীজন বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখাননি খুব একটা। সরকারি উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে অনুষ্ঠিত বইমেলায় সরকারি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ থাকবেই। এ নিয়ন্ত্রণ দোষের কিছু নয়। তবে বইমেলার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে স্থানীয় লেখক ও সংস্কৃতিসেবীদের সঙ্গে মনোজাগতিক দূরত্ব নিরসন করে চলতে হবে। এবারের বইমেলায় সে দূরত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো। আমি নিজে স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু বইমেলায় আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেসব মেলায় প্রশাসনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে স্থানীয় অনেক সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবী সুধীজন অংশগ্রহণ করেনি। আজকাল অনেক সরকারি কর্মকর্তা সাহিত্যিক হয়ে উঠেছেন। তারা সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রেও পারদর্শী। তারা মঞ্চে বসলে স্বাভাবিকভাবেই পদবিহীন সাহিত্যিকরা গৌণ হয়ে পড়েন। এবার একজন বইপ্রেমী দই বিক্রেতা একুশে পদক পেয়েছেন।

পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক জর্জরিত এই দেশে এটি একটি বিরল ঘটনাই বটে। পরিচিতি না পাওয়া প্রকৃত সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে এটি একটি প্রেরণা হিসেবেও কাজ করবে। বইমেলাকে অন্যান্য পণ্যের মেলা থেকে আলাদা করে দেখতে হবে। বইমেলাকে ঘিরে লেখক, পাঠক তথা বইপ্রেমীদের প্রত্যাশা অনেক। লেখকের প্রত্যাশা হলো পাঠক যেন ভালোবেসে তার একটি বই কেনেন। পাঠক প্রত্যাশা করেন মেলা থেকে যেন তিনি তার প্রিয় লেখকের বই কিনতে পারেন। আয়োজকদের সে প্রত্যাশার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। নাচ-গানের মাধ্যমে লোকসমাগম ঘটিয়ে বইমেলার প্রচুর্য বাড়ানো যায় কিন্তু বইপ্রেমীদের হৃদয়ে প্রাণের সঞ্চার ঘটানো যায় না। আজকাল অনেকেই বলে থাকেন এখনকার ছেলেমেয়েরা বইমুখী নয়। এই নেতিবাচক কথাটি বলার মাধ্যমে প্রকারান্তরে নতুন প্রজন্মকে বইবিমুখ করে তোলা হয়। তার চেয়ে বরং ফলপ্রসূ হয়, আমরা যদি ইতিবাচকভাবে বলি যে এখনকার ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তাদের আরও বেশি বেশি বই পড়া উচিত তবে সেটিই সমাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ইন্টারনেট যখন নতুন প্রজন্মের সামনে বিনোদনের হাজারটা দুয়ার খুলে দিয়েছে, হাতের মুঠোয় যখন চলে এসেছে দেশ-বিদেশের সব বিষয়ের তথ্য তখন বইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, ছাপা বইয়ের বিকল্প হিসেবে এখন অনলাইনে পিডিএফ ফরমেটে পাওয়া যায় পছন্দের অনেক বই। ফেসবুক কেড়ে নিয়েছে মানুষের অনেক মূল্যবান সময়। 

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের চাপ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় নতুন প্রজন্মকে ছাপা বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা সহজ কাজ নয়। পিডিএফ কখনো মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প হতে পারে না-এ কথা যতই বলা হোক না কেন-পিডিএফের সহজলভ্যতার কারণে মুদ্রিত বইয়ের প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আমাদের ভার্চুয়াল জগতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন আমরা পেপারলেস বা কাগজহীন জগতে প্রবেশ করছি। তারপরও বইমেলা আছে, থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তির মহাবিপ্লব সত্ত্বেও মুদ্রিত বই বিলুপ্ত হয়নি। হবেও না। বিশ্বজুড়েই বইমেলার সংস্কৃতি চালু আছে। 

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। এবারের বইমেলায় যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ভবিষ্যতে যাতে সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় বাংলা একাডেমি সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন-এ প্রত্যাশা সবাই করে। স্থানীয় বইমেলাগুলোতে প্রশাসনের অতিমাত্রায় নিয়ন্ত্রণ কারও কাম্য নয়। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি সমন্বয়বাদী হতে হবে। প্রকৃত লেখক ও পাঠককে কেন্দ্র করে সবকিছু আবর্তিত হলেই বইমেলা হয়ে ওঠে বইপ্রেমীদের প্রাণের মেলা।

পিএইচডি গবেষক
ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close