বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্ব সীমান্ত ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ। সীমান্তের উপারে মায়ানমারের এলাকাটিতে স্থানীয়রা ঢেকিবনিয়া বললেও ঐ এলাকার ভিন্ন একটি নাম রয়েছে মায়ানমারের জান্তা বাহিনীর কাছে।
ঐ সীমান্তে মায়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও স্বাধীনতা কামী "আরাকান আর্মি"'র তীব্র যুদ্ধ শুরু হয় ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে। যা তীব্র আকারে চলমান ছিল টানা ১৩ দিনের চেয়েও বেশি। এরপর থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে গুলাগুলি হলেও পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সময়ের আলোকে জানান, সংঘর্ষে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের তাড়িয়ে ঢেঁকিবনিয়ার সীমান্ত ফাঁড়ি বা চৌকি গুলো দখলে নেন আরাকান আর্মি যেখানে শক্ত অবস্থান তৈরি করছে এসব যুদ্ধ।সীমান্তে বর্তমানে শক্তি বাড়িয়েছে"আরাকান আর্মি" এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী এলাকাটি সীমান্তের একেবারে লাগোয়া। ঐ এলাকার কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে সড়কটি ঘেঁষে রয়েছে পাহাড়। পাহাড় এবং সড়কে আরাকান আর্মি সদস্যদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জলপাইতলীর স্থানীয় বাসিন্দা মনির আলম সময়ের আলোকে বলেন, ওপারে কয়েকদিন আরাকান আর্মি দেখা নাগেলেও বর্তমানে তাদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে এবং তাদের ওপারে ব্যঙ্কার তৈরি করতে নির্মাণ সামগ্রীও দেখা যাচ্ছে। মাজে মধ্যে তাদের সাথে কিছু মহিলাও টহল দিতে দেখা যায় এবং ২/১টা সাদা গাড়ি চলাচল করতেও দেখা যায়। পুরুষদের মাঝে মহিলা সদস্যও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আরাকান আর্মিতে নিচ্ছে প্রশিক্ষণ এমনটাই দেখা যাচ্ছে ওপারে।
ঘুমধুম সীমান্তের স্থানীয় মনিরুল আলম বলেন, সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সদস্য বাড়িয়েছে বলে মনে হচ্ছে দিন দিন তাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে এবং পাশা-পাশী তাদের প্রশিক্ষণ নিতেও দেখা যাচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ সময়ের আলোকে বলেন, সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মি তাদের মতই রয়েছেন। মাঝে মধ্যে ২/১ গুলির আওয়াজ শুনা যায় এটা অবশ্যই তাদের নিজস্ব অবস্থানের কথা জানান দেয়। ওখানের চৌকি গুলো তাদের দখলে নেওয়ার পর তারা তাদের অবস্থানে থাকলেও ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি পুরাপুরি শান্ত রয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/