ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

দুই মেয়র প্রার্থী স্বশিক্ষিত
প্রকাশ: শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪, ৩:৫০ এএম  (ভিজিট : ৩৩২)
আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। এর মধ্যে দুজন প্রার্থী হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তারা স্বশিক্ষিত। এই দুজন হলেন- এহতেশামুল আলম ও শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল। তবে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন রেজাউল হক ও ইকরামুল হক টিটু। এই পাঁচ প্রার্থীর কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নগদ অর্থের দিক থেকে এগিয়ে আছেন ইকরামুল হক টিটু। আর ব্যাংকে ঋণ রয়েছে এহতেশামুল আলমের। অন্য কারও ব্যাংকঋণ নেই। 

পাঁচ মেয়র প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইকরামুল হক টিটুর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা। ব্যাংকে আছে ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার ৩১৮ টাকা। কোম্পানির শেয়ার আছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার ৪২৪ টাকা। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১২ লাখ ১৯ হাজার ২২৫ টাকা। টিটুর যানবাহনের মূল্য ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে ৪ লাখ টাকার, আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার, অংশীদারী ব্যবসায় আছে ৯১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৩ টাকা, শেয়ার মূলধন আয় ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৬ টাকা। এছাড়া কৃষিজমি ৭৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, যার মূল্য ধরা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা। অকৃষি জমির মূল্য ২ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ৭০০ টাকা। নিজ নামে থাকা ভবনের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ২০২ টাকা। পদ্মা ব্যাংকে দেনা দেখিয়েছেন ২ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার ৩৩৪ টাকা। অন্যান্য দেনা ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯২ টাকা। শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন ২৭ লাখ ১১ হাজার ৮৪০ টাকা। চাকরি থেকে আয় দেখিয়েছেন ২১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। 

ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম স্বশিক্ষিত। হলফনামার তথ্যমতে, তার কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭০ টাকা। দুটি বাস-ট্রাকের মূল্য দেখিয়েছেন ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্রের মূল্য ৫০ হাজার টাকা। একটি চারতলা বাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১৮ লাখ টাকা। কার লোন দেখিয়েছেন ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭০ টাকা। বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। এছাড়া নির্ভরশীলদের চাকরি থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ১৬০ টাকা।

হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু বিএ এলএলবি পাস। হলফনামার তথ্যমতে, তার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৯৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৬০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৯৭ হাজার ৬৬০ টাকা এবং নিজের কাছে ১০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ টাকা ও আসবাবপত্রের মূল্য ১ লাখ টাকা। এছাড়া অকৃষি জমি রয়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ যার মূল্য তিনি জানেন না। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় দেখিয়েছেন ৯০ হাজার টাকা। শিক্ষকতা, চিকিৎসা এবং আইন পেশা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং জমি বিক্রি থেকে আয় দেখিয়েছেন ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২০ টাকা।

হরিণ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক। পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পাশাপাশি তিনি আইনজ্ঞও। তার কাছে নগদ টাকা রয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১ হাজার ৯৫০ টাকা। তিনি বৈবাহিক সূত্রে স্বর্ণ পেয়েছেন ৩০ ভরি। তবে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্রের মূল্য উল্লেখ করেননি। তার অকৃষি জমি রয়েছে ৫৫ শতাংশ। শিক্ষকতা, চিকিৎসা ও আইন পেশা থেকে তার আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল স্বশিক্ষিত। এ মেয়র প্রার্থীর কাছে নগদ রয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে ৩ লাখ টাকা।


সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close