ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ওসির টাকা প্রয়োজন, তাই পুলিশ সদস্যের চাঁদাবাজি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪, ৫:০১ পিএম  (ভিজিট : ৮৫২)
অভিযুক্ত কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি

অভিযুক্ত কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চাষের ট্রাক্টর থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মো. আনোয়ার হোসেন নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। জমি চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর সড়কে পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার কারণে তিনি এ চাঁদা উত্তোলন করেন। 

তবে সেই চাঁদার টাকা থানার ওসির অনুষ্ঠানের কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এএসআই আনোয়ার হোসেন। তিনি কমলনগর থানায় কর্মরত আছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে অন্তত ৩৫০-এর অধিক চাষের ট্রাক্টর ইঞ্জিনের পেছনে বডি সংযুক্ত করে সড়কপথে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করছে। এ ছাড়া উপজেলায় গড়ে ওঠা অন্তত ২০টি ইটভাটার মালিক তাদের ভাটার ইট পরিবহন ও কৃষিজমি কেটে ভাটায় সংরক্ষণের কাজে ট্রাক্টর ব্যবহার করছেন। এসব ট্রাক্টর চাষাবাদ উপযোগী হলেও অভিযুক্ত এএসআই মৌসুম (সৃজন) চুক্তিতে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে আদায়ের মাধ্যমে সড়কে চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজিরহাট এলাকার ট্রাক্টর মালিক ইসমাইল হোসনকে জানান, কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন থানার ওসির কথা বলে তার মাধ্যমে ট্রাক্টর প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আদায় করেছেন। ওই ইউনিয়নে অন্তত ৫০টি ট্রাক্টর রয়েছে। খাতা দেখে জানাতে পারবেন এ পর্যন্ত কতটা ট্রাক্টর থেকে তিনি টাকা উত্তোলন করে দিয়েছেন। তবে নিজ মালিকানা ৩টি ট্রাক্টরের জন্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা এএসআই আনোয়ার হোসেনকে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

একইভাবে উপজেলার করইতলা এলাকার আমির হোসেন জানান, চরলরেন্স ইউনিয়নের অন্তত ২১টি ট্রাক্টরের থেকে চাঁদা কালেকশন করে তিনি থানার অফিসারের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন। জানামতে ওই ইউনিয়নের তেমন কেউ টাকা দেওয়ার বাকি নেই। এ ছাড়া উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের কিছুসংখ্যক ট্রাক্টর মালিক থেকে টাকা উত্তোলন করে তা অভিযুক্ত এএসআইকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। 

অভিযুক্ত কমলনগর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের জন্য ওসির দুই লাখ টাকার প্রয়োজন। এ কারণে ওসির নির্দেশে তিনি ১১৬টি ট্রাক্টর থেকে সামান্য পরিমাণে টাকা উত্তোলন করে তা ওসিকে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতেও অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, তার নাম ভাঙিয়ে এএসআই আনোয়ারের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না। তা ছাড়া এটা করবে কেন? তিনি জরুরি একটি মিটিংয়ে আছেন। মিটিং শেষে থানায় এসে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  পুলিশ সদস্য   চাঁদাবাজির অভিযোগ   কমলনগর-রামগতি   লক্ষ্মীপুর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close