ফসলের মাঠ থেকে আগুনে পোড়া ঘাস ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪, ৪:১০ পিএম (ভিজিট : ৩৯৬)

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে তোফাজ্জুল ইসলাম (৫২) নামে এক ঘাস ব্যবসায়ীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বহরম এলাকার একটি মাঠ থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত তোফাজ্জুল ইসলাম সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নের চকবহরম এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

নিহতের ভাই সেরাজুল ইসলাম জানান,‘গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ভাই জরুরি কাজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু রাতে আর ফিরে আসেনি। আজ সকাল ১০টার দিকে বহরম এলাকায় একজনের আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ওই মরদেহটি আমার বড় ভাই তোফাজ্জুল ইসলামের। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে।’

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, কিভাবে মারা গেছে তা জানা না গেলেও; এটি যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা তাকে মেরে মাঠের ভেতর মাড়াই করা সরিষার খড়ের ভেতর আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে। মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ ও রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহতদের ছেলে হযরত আলী বলেন, ‘তার বাবা আগে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও; বর্তমানে তিনি বয়সজনিত কারণে ভ্যানে করে কাঁঠালের পাতা ও ঘাস বিক্রি করতো। তাদের জানামতে তার বাবার কোন শত্রু ছিলোনা বা কারো সাথে কোন দ্বন্দ্বও ছিলোনা। রাতে জরুরি কাজ আছে বলে বের হলেও; আর জীবিত ফিরলেন না। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছে, তোফাজ্জুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ ছিলো। তার মতো একজন সাধারণ মানুষকে এভাবে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারাও। এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

সময়ের আলো/জিকে