প্রকাশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪, ৫:২৮ এএম (ভিজিট : ৪৮৪)
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির তীব্রতা বেড়েছে। দিনের বেলায় থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও সন্ধ্যার পর তা ঘনঘন শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দুপুর আড়াইটার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে শব্দ শোনা গেলেও সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ বেড়ে যায়। এপারে আতঙ্কিত রয়েছে এলাকাবাসী।
তিন দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রতিবেশী দেশটির অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নাফ নদের ওপারে অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের বলিবাজার, নাকপুরা এলাকা ঘিরে সংঘাতে এসব বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসে এপারেও। ওই সময় বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে মর্টার শেল।
উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক তাহের নঈম জানান, গত সোমবার বিকাল ৪টার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এ সময় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সীমান্ত দিয়ে বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সীমান্তে।
মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।