প্রকাশ: শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪, ৩:৩২ এএম (ভিজিট : ৪৮৬)
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি মহল্লায় জমে উঠেছে নির্বাচনি প্রচার। সর্বত্রই এখন ভোট উৎসবের আমেজ। পোস্টারে-ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট, অলিগলি। প্রতিদিন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক না থাকায় দলটির চারজন নেতা মেয়র পদে অংশ নিয়েছেন। তাদের তিনজনই জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এ কারণে ভোটের মাঠে এখন ত্রিমুখী শক্ত লড়াইয়ের আভাস। তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সবাই।
এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় পাওয়ার আশায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র প্রার্থী। তবে ভোটাররা বলছেন, আশ্বাসে বিশ্বাসে নয়-যোগ্য প্রার্থী দেখেই দেবেন ভোট তারা। নাগরিক সমস্যা সমাধান ও নগরের উন্নয়নকে যিনি এগিয়ে নিতে পারবেন-এমন প্রার্থীকে বেছে নিতে চান ভোটাররা। সাকিপাড়া এলাকার ভোটার বদরুল আলম বলেন, শহরের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি যানজট। ২০ মিনিটের পথ যেতে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। সড়কে কোনো শৃঙ্খলা নেই। যিনি এ ভোগান্তি দূর করতে পারবেন তাকেই ভোট দেব।
কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা আফতাব জাহান স্বপন বলেন, মেয়রপ্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন তারা।
ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকেই তারা আমাকে বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করি।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম বলেন, বেকার তরুণদের জন্য আমি কাজ করতে চাই। সিটিতে যেসব খাস জমি রয়েছে, ওইসব স্থানে কুটিরশিল্পের ব্যবস্থা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। হাতি প্রতীকের প্রার্থী সাদিকুল হক খান শিল্পী বলেন, পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত নগরী গড়তে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি জয়ী হলে সুন্দর একটি নগরী গড়ে তুলব। সেজন্য নগরবাসী আমাকেই বেছে নেবেন বলে আমি আশাবাদী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুটি বলয় থাকায় টিটুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় রয়েছেন এহতেশামুল ও টজু। টিটুকে ঠেকাতে তারা দুজনই স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর সমর্থনের আশায় আছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের এ বিভক্তিকে কেন্দ্র করে সুবিধা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে। রওশন এরশাদ এখানে পরপর দুই টার্ম এমপি ছিলেন, তাই জাতীয় পার্টির বড় ভোটব্যাংক রয়েছে। এতে আমিই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আমি নির্বাচিত হতে পারলে ঘিঞ্জি শহর থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে উপশহর করব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখব।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে আগামী ৯ মার্চ ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন ভোটার। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় এ ওয়ার্ড ছাড়া ভোট হবে ৩২টি ওয়ার্ডে।
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
বৈরুতে ইসরাইলি নৃশংসতা, এক রাতেই ৩০ দফা হামলা
বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ঢাকা
পাঁচ দিনের রেমিট্যান্স ৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ব্যক্তিতে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশে রদবদল
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে যুবলীগ নেতা নূর ইসলাম গ্রেফতার
ধরাছোঁয়ার বাইরে তারা
ভালো নেই প্রাথমিকের শিক্ষকরা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
আগে সংস্কার এরপর নির্বাচন